আজ 'বিশ্ব নিরামিষ দিবস', পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে ভেগানদের সংখ্যা, আপনিও কি তাঁদের দলে?


Odd বাংলা ডেস্ক: খাবারের প্লেটে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, মধু কিছুই থাকবেনা।ভিগানিজমে বিশ্বাসীরা এটাকে নিয়ে গেছেন আরও দূরে যেমন চামড়া, উল বা মুক্তার মতো বিষয়গুলো থেকেও দুরে থাকতে হবে।এটাকেই বলা হয় ভিগানিজম, প্রতিনিয়ত এতে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।

ভিগানুয়ারি একটা ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা যারা জানুয়ারি মাসে ভেগানিজমে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য মানুষকে সহায়তা করে। তারা বলছে, প্রতি বছরই অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৯ সালে ১৯০ দেশের আড়াই লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছে।

যেহেতু প্রোটিনের বিকল্প উৎস আছে বাজারে সে কারণে ভিগানিজম বৈশ্বিক ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। ইকনোমিস্ট বলছে, ২০১৯ সালে ভিগানই হবে বড় ফুড ট্রেন্ড।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ এ ধরণের ফুড টিপস পেতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে।সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী ইন্সটগ্রামে ভেগান বিষয়ে ৯২ মিলিয়ন পোস্ট এসেছে।উদ্যোক্তারা এর মধ্যে ব্যবসার সুযোগ খুঁজছেন।বড় বড় কোম্পানি গুলোও তাই দৃষ্টি দিচ্ছে এখানে।

নেসলের মতো কোম্পানি বলছে, ভেগান পণ্য এখন আর অপ্রচলিত ধারার কিছু না।এগিয়ে আসছে অন্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোও।আমেরিকায় ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই জীবনধারায় বিশ্বাসীদের সংখ্যা বেড়েছে ৬০০%, আর যুক্তরাজ্যে গত এক দশকে বেড়েছে ৪০০%।আর এই আন্দোলন এখন এতোটাই বিস্তৃত যে ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস পর্যন্ত অফার দিচ্ছে "ম্যাকভিগান বার্গার"-এর। পহেলা নভেম্বর যারা 'ওয়ার্ল্ড ভিগান ডে' পালন করেন, এবং এর বাইরে যারা আছেন, তাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.