বাংলার সব অভিনেতাই বোধহয় স্বপ্ন দেখেন একবার অন্তত ফেলুদা হওয়ার


Odd বাংলা ডেস্ক:  বলিউডের হিরোদের মধ্যে একটা কথার চল আছে, জীবনে একবার যদি উর্দি না পরলে তাহলে আর কি হিরো হলে! বাংলার ব্যাপারটা কিন্তু আলাদা। এখানে হিরোরা পুলিশ হওয়ার চেয়ে গোয়েন্দা হতে বেশি পছন্দ করে। সোজা কথায় ফেলুদা হতে বেশি পছন্দ করে।     

টোটার নাম ফেলুদা হিসেবে বহুবার উঠেছে। পরিচালক সন্দীপ রায়ও একবার ভবিষ্যতের ফেলুদার কথা বলতে গিয়ে টোটা রায়চৌধুরীর নাম বলেছিলেন। সেই প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিৎ আমলেই টোটার টলিউডে পা। কিন্তু তখনকার ফ্যামিলি ড্রামা পিরিয়ডে বাংলা সিনেমায় টোটাকে বাংলার ঠাকুরপো, সুইট হিরো আর মাঝে মাঝে খলনায়ক চরিত্রে দেখা যায়। অথচ টোটা কিন্তু অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন অভিনেতা। ফলে তাঁকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি বলেই মনে হচ্ছে এখন। 

মাটির তাল থেকে দেবতা কীভাবে বানাতে হয় সেটা পরিচালক সৃজিত খুব ভালো করে জানেন। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে টোটাকে ফেলুদা হিসেবে হাজির করাটা বেশ ভালো একটা বদল মনে করছে দর্শক। আর তাছাড়া সত্যি বলতে ফেলুদা চেহারার অভিনেতা বাংলাতে এখন তো হাতে গোনা। সবাই হয় অতিরিক্ত ব্যায়াম করে সাংঘাতিক বডি তৈরি করে ফেলছে নয়তো কিছু না করে মোটা হয়ে যাচ্ছে। এক লম্বা বাঙালির মেদহীন চেহারা বাংলাতে এখন কি তেমন আছে? টোটাই তো সেখানে আশার বাতি।

টোটাও ব্যাপারটা নিয়ে বেশ উৎসাহী। তবে একটি জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকাকে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন টিনটোরেটোর যীশুর সময়ই নাকি সৃজিত তাঁকে বলেছিলেন কোনোদিন যদি ফেলুদা করি তবে তোমাকে নেব। এবং সেই রকমই কথা রেখেছেন সৃজিত। তবে ওয়েব কন্টেন্টে যখন সৃজিত হাত দিয়েছেন তখন বিশেষ ভালো কিছু বিনোদনের পন্য যে দর্শক পেতে চলেছে এটা স্পষ্ট।                     
Blogger দ্বারা পরিচালিত.