মেয়েরা সহজেই পারে, কিন্তু ছেলেরা?


Odd বাংলা ডেস্ক: সবকিছুরই শেষ আছে। তাই সম্পর্ক ভাঙাটাও অস্বাভাবিক নয়। খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কেউ তার স্কুল জীবনের সঙ্গীর সঙ্গে গোটা জীবনটা কাটিয়ে দিলেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতার পরিবর্তন হয়। ব্যক্তিত্ব বদলায়। পছন্দ পালটায়। বদলায় ভালোবাসার ভাষা। ফলে, ছোট বয়সে যা ভালো লেগেছে, পরে তা ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক। ফেলে আসা সম্পর্কগুলোকে বলা যায়, ‘ট্রায়াল রিলেশনশিপ।’ এই ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েই খুঁজে নেওয়া যায় যায় মনের মানুষকে। কিন্তু সব জেনেও, কেউ যদি খারাপ সম্পর্ককে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, তা হলে পদে পদে সংঘাত অনিবার্য। সম্পর্ক তখন অতিরিক্ত কচলানো লেবুর মতোই তিক্ত। চাইলেও অনেক পুরুষই পারেন না খারাপ সম্পর্ক ভেঙে শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে। জানেন না, কীভাবে বেরিয়ে আসতে হয়। গবেষণা বলছে, পুরুষের ওয়াই-ক্রোমোজমই এর জন্য দায়ী। কারণ, ওয়াই-ক্রোমোজম চায় পুরনো সম্পর্ককে সবসময় ধরে রাখতে। এ-ও দেখা গেছে, যত সম্পর্ক ভাঙে, সেখানে মূল ভূমিকা থাকে মেয়েদের। এমনকী আমেরিকায় বিবাহবিচ্ছেদের ৮০% ক্ষেত্রেই তৎপর ভূমিকা নেয় মেয়েরা। এ তো গেল পুরুষ জিনের কথা। পাশাপাশি সাইকোলজিক্যালি তিনটি ভাবনা পুরুষের মনে ঘুরপাক খায়। যে তিন ভাবনার জাল কেটে, কোনও পুরুষই ব্রেকআপকে সহজে মেনে নিতে পারেন না। বা, খারাপ সম্পর্ককে ‘বাই বাই’ করে উলটো পথে হাঁটতে পারেন না।

 ১. শুধুই সময় নষ্ট! পুরনো সম্পর্কের উল্লেখ করে কেউ যদি বলেন, কী করলে এতগুলো বছর, নিজের সময় নষ্ট ছাড়া কাজের কাজ কিছু হয়নি। এটা শোনা, যে কোনও পুরুষের পক্ষেই হাতাশাজনক। তারা এমনটা শুনতে নারাজ বলেই সম্পর্কটাকে জোর করে ধরে রাখতে চান। কিন্তু, যদি তারা ব্রেকআপটাকে এই ভাবে দেখেন, পুরনো সম্পর্ক থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, এমনকী সম্পর্ক ভাঙার শৈলীটাও, তা হলে সহজেই দ্বিধা কাটিয়ে, পুরনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন ছেলেরা। ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে সে ভাবে ঘষামাজা করে নিতে পারেন। 

২. সব ঠিক হয়ে যাবে সম্পর্কে যতই তিক্ততা আসুক, দুম করে কোনও ছেলেই চান না সম্পর্কটা তড়িঘড়ি ভেঙে দিতে। তারা ভাবেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক মানিয়ে নিতে পারবেন। তাই মনোমালিন্যকে ইস্যু করে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেন না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ছ’জনের একজন পুরুষ খারাপ সম্পর্কের পরেও অন্ততপক্ষে ছ-মাস অপেক্ষা করেন। তারা নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটা সাময়িক, সব ঠিক হয়ে যাবে। পুরুষরা এটা ধরেই নেন সম্পর্কের মধ্যে নানা ধরনের বাধা আসতেই পারে। যার জেরে অশান্তি হওয়াটা পুরুষদের কাছে স্বাভাবিকই। তাই সম্পর্কে লেগে থাকায় বিশ্বাসী পুরুষরা। 

৩. আবেগকে সংযত করতে হবে সম্পর্ক নিয়ে মেয়েরা খোলামেলা। বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের কাছে কিছু গোপন না-করে, ব্রেকআপ নিয়েও খোলামেলা আলোচনা করতে পারে। পুরুষরা কিন্তু খুল্লামখুল্লা ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না। আবেগকে সংযত করে রাখতে চান। সম্পর্কে যত তিক্ততাই আসুক, চান না কারও সঙ্গে তা নিয়ে কথা বলতে। কারণ, তারা তখনও ভিতরে ভিতরে জোড়াতাপ্পি দিয়ে সম্পর্কটাকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করে যান। একই ভাবনা মাথায় কাজ করে, যদি বন্ধু-স্বজনরা বলেন, সময় নষ্ট ছাড়া কী করলি প্রেম করে? ছেলেদের মনে রাখা উচিত, কোনও কিছুই জোর করে টিকিয়ে রাখা যায় না। সহজ সত্যটাকে মেনে নিয়ে, অতীত সম্পর্কের ভালো দিকগুলো দেখে, সামনে এগিয়ে চলা উচিত। যা হয়, ভালোর জন্যই। ব্যর্থ প্রেমকে আবর্জনা বলে পুড়িয়ে, এগিয়ে যান নতুন সম্পর্কে। সাতপাঁচ না ভেবে ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ এর মধ্য দিয়েই খুঁজে নিন ঠিক সঙ্গীকে। কে কী ভাবল, জাস্ট তোয়াক্কাই করবেন না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.