ভালবাসলেও শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে বিয়ে করলেন না কেন?


Odd বাংলা ডেস্ক: রাধা কৃষ্ণের প্রেম লীলা প্রসঙ্গ মহাভারতে পাবেন না। এই অমর প্রেম কাহিনী লোক সমাজে বহুল পরিচিতি পায় বৈষ্ণব পদাবলী এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর মাধ্যমে। রাধার বাবার নাম বৃষভানু আর মায়ের নাম কমলাবতী। বৃন্দাবনের নিকটবর্তী বরসানা গ্রামে তাঁর জন্ম। বৈষ্ণব পদাবলীতে শ্রীরাধাকে ভগবানের পরম ভক্ত রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর কৃষ্ণের প্রতি রাধার প্রেম আসলে ভগবানের সাথে ভক্তের মিলনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা। কোনও কোনও পুরাণ অনুযায়ী রাধা ছিলেন আয়ান ঘোষের স্ত্রী এবং সম্পর্কে কৃষ্ণের মামী। 

আবার অনেকের মতে শ্রীরাধা অবিবাহিতা ছিলেন। বৈষ্ণব পদাবলীতে দেখা যায়, কংসকে নিধন করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরার দিকে চলেছেন। তখন শ্রীরাধা আকুল ভাবে শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানতে চান, কেন তিনি তাকে বিয়ে করে মথুরায় নিয়ে যাচ্ছেন না। জবাবে শ্রীকৃষ্ণ জানান, শ্রীরাধাকে তিনি নিজের সত্ত্বা বলে মনে করেন। শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা আসলে একই আত্মার দুই শরীর। তাই শ্রীরাধিকাকে বিয়ে করলে শ্রীকৃষ্ণকে তো নিজের সাথেই বিয়ে করতে হয়। যাবার সময় তিনি রাধাকে আশীর্ব্বাদ করে বলেন, আজ থেকে যখনই কৃষ্ণ ও রাধার নাম একসাথে উচ্চারিত হবে, সবসময় রাধার নাম আগে উচ্চারিত হবে। 

তাই বলা হয়, রাধা-কৃষ্ণ, কৃষ্ণ-রাধা নয়। কৃষ্ণ চলে গেলেন মথুরায়, আর ফিরে আসেননি। বিরহিনী রাধা কৃষ্ণের প্রতিক্ষায় যমুনার তীরে বসে রইলেন। বৃন্দাবন বাসিরা বিশ্বাস করেন, এখনো শ্রীরাধা রাতের অন্ধকারে শ্রীকৃষ্ণের সাথে মিলনের অভিলাশে যমুনার তীরে অভিসারে যান। তাই এখনো বৃন্দাবনের ভক্তরা রাতের বেলা যমুনার তীরে যান না। যাতে শ্রীমতীর কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। একজন নারীর স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় কারো সাথে বিয়ে হতে পারে না। সেই কারনেই পরবর্তীতে অনেকগুলো বিয়ে করলেও শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে বিয়ে করেননি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.