কেন সারা জীবন বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়তেন রেখা?


Odd বাংলা ডেস্ক: বিনোদ মেহেরা-সঞ্জয় দত্ত-শেখর সুমন-জিতেন্দ্র-ধর্মেন্দ্র-সুনীল দত্ত—কে নেই সেই লিস্টে! বিবাহিত পুরুষদের সবচেয়ে বড় ‘থ্রেট’‌য়ের নাম রেখা। ম্যান-ইটার’, ‘নিম্ফোম্যানিয়াক’, ‘সেক্স কিটেন’… রেখার তখন কত নাম ইন্ডাস্ট্রিতে। সাফল্যের মধ্যগগনে থেকেও ব্যক্তিগত জীবনে বারবার রক্তাক্ত হতে হয়েছে রেখাকে। তাঁর ‘ম্যান-ইটিং’ নিয়ে যখন জোর গসিপ বলিউডে৷

সত্তরের দশকের প্রথমদিকে রেখার সঙ্গে অভিনেতা বিনোদ মেহেরা সম্পর্ক নিয়ে এতটাই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল বলে রটেছিল৷ যদিও ২০০৪ সালে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রেখা ওই বিয়ের কথা উড়িয়ে দেন৷ শুধু জানিয়েছিলেন বিনোদ মেহেরা তাঁর একজন শুভাকাঙ্খী৷
আবার আশি সালে ঋষি কাপুর আর নীতু সিংহের বিয়ের অনুষ্ঠান সাদা শাড়ি ও লাল টিপ পরে হাজির হয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে ছিলেন রেখা। মুহূর্তের মধ্যে সবার চোখ তখন সরে গিয়েছিল রেখার দিকে। হবে না-ই বা কেন! তাঁর মাথায় যে এক চিলতে সিঁদুর। সেখানে তখন স্ত্রী জয়া ও বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত অমিতাভ বচ্চন। নীতুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাদে রেখাও আমন্ত্রিত। এমনই পরিস্থিতি ক্যামেরার ফোকাস সদ্যবিবাহিত ঋষি-নীতু থেকে সরে গিয়েছিল শুধুই রেখার দিকে। বিয়ের পার্টিতে তখন জোর ফিসফাস চলতে থাকে- তবে কি রেখা বিয়ে করলেন?

রেখা পার্টি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও সেখানে থেকে যায় অনেক অনুচ্চারিত প্রশ্ন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল- ওইদিন মাথায় সিঁদুর লাগিয়ে কী প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন রেখা? তিনি বিবাহিত এই বার্তাই তিনি কী সকলকে দিতে চেয়েছিলেন? অনেক পরে রেখা বিতর্কে জল ঢালতে জানিয়েছিলেন, শ্যুটিং সেরে সরাসরি চলে যান ওই পার্টিতে আর তাড়াহুড়োতে ভুলে গিয়েছিলেন মেক আপ তুলতে।ফলে মাথার সিঁদুরটাও তখন তোলা না হওয়ায় তা রয়ে গিয়েছিল সিথিতে৷ তবে তখন অমিতাভের সঙ্গে রেখার অ্যাফেয়ার ঘিরে কম জল ঘোলা হয়নি৷ রেখাকে ঘিরে বচ্চনবাড়িতে সেই সময় অশান্তির গ্রাস করেছিল। এমনকী রটে ছিল অমিতাভ সঙ্গে তাঁর স্ত্রী জয়া ভাদুড়ীর বিয়ে ভাঙার খবরও।

তবে অনেকের সঙ্গে অনেক অ্যাফেয়ারের কথা শোনা গেলেও অবশেষে ১৯৯০ সালে দিল্লীর শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন রেখা। কিন্তু সে বিয়ে টেকেনি৷ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বৈধব্য বরণ করেন এই অভিনেত্রী। রেখা লন্ডনে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেন মুকেশ। এরপরেও বিশেষ করে তাঁর কপালের সিঁদুর নিয়ে প্রতিনিয়তই একটা প্রশ্ন সকলের মনে ঘুরপাক খায়৷ যার কোনও সদুত্তর কেউ পায়নি৷ বিধবা হওয়ার পর তাঁর নতুন করে বিয়ে করেছেন, এমন ঘটনাও জানা যায়নি। ফলে তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর ঘিরে রহস্য দানা বাধে৷
এই বিতর্কের আগুন উস্কে দিয়েছিলেন এক সময় অভিনেতা পুনীত ইসারের স্ত্রী দীপালীর মন্তব্য।তিনি জোর গলায় বলছিলেন, ‘অমিতাভের জন্যই সিঁদুর পরেন রেখা।’ শুধু তাই নয় ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ‘আমার স্বামী পুনীত অমিতাভ-রেখার বিয়ে নিয়ে অনেক কিছুই জানেন।’

রেখার পুরোনো বান্ধবী দীপালির বক্তব্য ধরেই অনেকের ধারণা হয়, ‘রেখা আজও অমিতাভের জন্যই সিঁদুর পরেন?’ কারণ দীপালির ওই বক্তব্যে তখন প্রতিবাদ করেননি রেখা।

এটা ঘটনা হিন্দু শাস্ত্রমতে, নারীদের কপালে সিঁদুর দেয়া মানেই স্বামী বেঁচে আছেন। ফলে রেখার ভক্তরা অনেকেই ধরে নিয়েছেন, অমিতাভের নামেই আজো সিঁথিতে সিঁদুর পরেন রেখা। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত ইয়াসের উসমানের বই ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ অন্যরকম ইঙ্গিত দিয়েছে ৷ যেখানে মনে করা হচ্ছে, গোপনে সঞ্জয় দত্তকেই নাকি বিয়ে করেছিলেন এই বলিউডি অভিনেত্রী৷ জানা যায়, ১৯৮৪সালে জমিন আসমান ছবির শ্যুটিংয়ের সময় রেখা এবং সঞ্জয় দত্ত একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন৷ এতটাই গভীর এবং গোপন ছিল সে সম্পর্ক যে তাঁরা বিয়েও করেছিলেন গোপনে৷ যা আজ অবধি কেউ জানে না৷ তবে এই তথ্য কতটা সত্য সে বিষয়ে কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলেনি এখনও পর্যন্ত৷ তাই বলিউডি গুঞ্জনেই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে রেখা-সঞ্জয়ের সম্পর্ক৷
Blogger দ্বারা পরিচালিত.