বুড়ির চুলেই মজেছে আট থেকে আশি, আজকের দিনেই পালিত হয় 'জাতীয় কটন ক্যান্ডি দিবস'
Odd বাংলা ডেস্ক: কাঠির মাথায় এক রাশ সুখ, যার পোশাকি নাম ক্যান্ডি ফ্লজ বা কটন ক্যান্ডি হলেও তা কিন্তু আদতে সকলের কাছে বুড়ির চুল বা হাওয়াই মিঠাই নামেই বেশি পরিচিত। সকলের ছেলেবেলার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ জুড়ে রয়েছে এই বুড়ির চুল। এক রাশ পেঁজা তুলোর মতো বা ঘন সাদা মেঘের মতো কখনও বা তাতে যোগ হয় গোলাপী, হলুদ বা কমলা রঙ। রঙ-রূপ যাই হোক না কেন মুখে দিয়ে মিলিয়ে যাওয়ার যে অপার তৃপ্তি তাতে বোধ করি শুধু ছোটরাই নয়, বড়রাও এর স্বাদ কিন্তু ভীষণভাবে পছন্দ করেন।
জানলে অবাক হবে সেই ১৪০০ শতক থেকেই এই বুড়ির চুলের প্রতলন শুরু হয়েছিল ইতালিতে। সেইসময়ে এটি একেবারে ঘরোয়াভাবেই তৈরি করা হত। ঘন করে চিনির রস তৈরি করে নিয়ে করে তা সরু কাঠির সাহায্যে বাতাসের সংস্পর্শে এনে বুড়ির চুল তৈরি করা হত। এরপর ১৮৯৭ সালে ক্যান্ডি ফ্লস তৈরির মেশিন আবিস্কার করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়ম মরিসন ও জন সি. ওয়ারটন নামে দুই ব্যক্তি। মেশিনের সাহায্যে চিনির সুতো আরও সুক্ষভাবে তৈরি হতে শুরু করল। মেশিনে তৈরির ফলে তা তাড়াতাড়িও বানিয়ে নেওয়া যেত।
তবে এই কটন ক্যান্ডি ব্যপকভাবে প্রসার লাভ করে ১৯০৪ সালে। সেইবছর মরিসন এবং ওয়ারটন নামে দুজন তাঁদের মেশিনে তৈরি ক্যান্ডি ফ্লস নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন সেন্ট লুইসের বিশ্ব মেলায়। জানলে বিস্ময় জাগবে যে প্রথম দিনেই মেলায় ২৫ সেন্ট করে ৬৮ হাজার ৬৫৫ বাক্স হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেছিল তারা, যা সেই সময়ের নিরিখে কার্যত রেকর্ড গড়েছিল। আর এইভাবেই ধীরে ধীরে সারা বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করল বুড়ির চুল।
চাহিদা ও জনপ্রিয়তার জন্য একাধিক বড় বড় কোম্পানি এই হাওয়াই মিঠার উৎপাদন এবং বিপণন করতে উৎসাহ দেখাল। দেখতে অনেকটা তুলার মতো বলেই ১৯২০ সালে মার্কিনরা এর নাম দিয়েছিল কটন ক্যান্ডি। আর মার্কিনিরা কট ক্যান্ডির এত বড় ভক্ত হয়ে উঠল যে, আজকের দিনে অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় কটন ক্যান্ডি দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
Post a Comment