ব্রু রিফিউজিদের না খেতে দিয়ে মারছে মোদী সরকার, মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে


Odd বাংলা ডেস্ক: রেশন বন্ধ বেশ কয়েক মাস ধরে। ত্রিপুরায় অনাহারে দিন কাটছে ব্রু উদ্বাস্তুদের। উপায় না দেখে সরকারি শস্যভাণ্ডার লুঠের চেষ্টাও করেছেন তাঁরা। কী করতে পারে তারা। নিত্যদিন না খেতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বহু শিশু ও মহিলারা। হাজারো নিয়ম-কানুনের জেরে রেশন পৌঁছতে দেরি হয়েছে বলে সাফাই দিচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। উদ্বাস্তু শিবিরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ত্রিপুরার সরকারকে চিঠি দেওয়ার পরও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে ব্রুরা বেছে নেয় আইনের পথ। 

এই ঘটনায় জেনে রাখুন কারা এই ব্রু উপজাতি। ব্রু আসলে  ত্রিপুরারই দ্বিতীয় সবচেয়ে বড়ো উপজাতি গোষ্ঠী। কিন্তু খুব প্রথম থেকে ত্রিপুরীদের সঙ্গে এঁদের দ্বন্দ্ব ছিল। যার জেরে ১৯৯৭ সাল থেকে ত্রিপুরাতে প্রায় ৬টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৩২,০০০ মিজোরামে দাঙ্গার স্বীকার ব্রু উপজাতির মানুষ বসবাস করে। ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার আসার পরই এই উপজাতি অন্তর্ভুক্ত মানুষজনকে মিজোরামে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। অক্টোবরের ৩ তারিখ থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদের মধ্যে অনেকেই মিজোরামে ফিরে গেলেও অনেকে আবার ত্রিপুরাতেই থেকে যেতে চায়। তারপর থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে নীরবে অত্যাচার শুরু করে বিপ্লব দেবের সরকার। তাঁদের কাজ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভাতা। সর্বোপরি রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে তাঁদের প্রাণে মারার চেষ্টা শুরু হয়। তাতে মৃত্যু হয় ৬ জনের। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ৩১ অক্টোবর উত্তর ত্রিপুরার দাসদা ও আনন্দনগর রাস্তা অবরোধ করেন ব্রু উপজাতীর মানুষজন। 

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে যখন উত্তপ্ত দেশ তখন সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল ত্রিপুরার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন ‘ব্রু’ উপজাতিদের রেশন বন্ধ করে দিল রাজ্য কেন্দ্র সরকার তার উত্তর চাইল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিল প্রধানবিচারপতি এস এ ববদের বেঞ্চ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.