প্রেমে আঘাত, তাই ৬৬ বছর স্নান না করেই বেঁচে আছেন


Odd বাংলা ডেস্ক: কথায় বলে প্রেমে নাকি কিছুই খেয়াল থাকে না মানুষের, আবার বলা হয় প্রেমে আর যুদ্ধে নাকি সব কিছুই ঠিক। সত্যিই তো বড় অদ্ভুত এই প্রেম, মানুষকে হাসায় কাদায়, ভালোবাসতে শেখায়, রান্না করতে শেখায়, এমন না জানা অনেক কিছু জানায়। তাই মানুষের জীবনের অনন্য অঙ্গ হল প্রেম। আর প্রতিটা মানুষের জীবনে প্রেম আসে। আস্তে বাধ্য!

কেউ কেউ সেটা প্রকাশ করে, কেউ কেউ আবার নীরবে দূর থেকে ভালোবেসে যায়। কারুর কারুর কপালে জোটে সফলতা। পায় তার প্রিয়তম বা প্রিয়তমাকে, কেউ আবার পায়না। কেউ কেউ তো আবার পেয়েও প্রতারিত হয়। কিন্তু জীবনের স্রোতে ভাসতে ভাসতে এক সময় তরী ঠিক তার কূল খুঁজে পায়।

ফলে প্রেমে বিফল হয়েও এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এমন এক জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে পেয়েছেন যারা তাদের পরিপুরক, আবার জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনিকে না পাওয়ার যন্ত্রণায় অনেকেই মৃত্যুর কোলে ধলে পড়েছেন এমনও শোনা যায়।

তাই প্রেমে সফল না হয়ে অনেকেই অনেক কিছু থেকে সরে এসছেন। কিন্তু আজ যে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করবো সেটি শুনলে আপনিও আশ্চর্য হবেন, এইরকম কেউ করতে পারে তাও আবার প্রেমে আঘাত পেয়ে। এই গপ্প সাত জন্মেও ভোলার নয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নি-

দক্ষিণ ইরানের ফারস জেলার একটি গ্রাম দেজগা, সেখানেই থাকেন এই ব্যাক্তি, নাম আমু হাজি। প্রকৃতির কোলই তার বিছানা আর সজারুর পচা মাংস খেয়ে দিন কাটান। বয়স তার প্রায় ৮০’র কোঠায় গেলেও দীর্ঘ ৬৬ বছর গায়ে জল স্পর্শ করেননি আমু হাজি।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী আমু হাজির এটাই সত্য। বেড়ে যাওয়া চুল দাড়ি কাটার সমস্যা নেই তার। চুল দাড়ি অনেক বড় হয়ে গেলে আগুন দিয়ে পুরিয়ে দেন তিনি সেগুলো। কানা ঘুষো শোনা যায় নাকি যুবক বয়েসে প্রেমে আঘাত পেয়েই নাকি তার এই সিদ্ধান্ত।

আগে সব চেয়ে অপরিষ্কার ব্যাক্তির তকমা পেয়েছিলেন এক ভারতীয়, তিনি প্রায় ৩৮ বছর স্নান করেন নি। কিন্তু তাকেও ছাপিয়ে রেকর্ড গড়েছেন আমি হাজি। তার গায়ে এই দীর্ঘদিনের ময়লার আস্তরন দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন একটা পাথর জামা কাপর পড়ে বসে আছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.