মাদার টেরেসার পর দ্বিতীয় কেউ শাড়ি পরে উঠলেন নোবেল মঞ্চে, ধুতি-পাঞ্জাবীতে ধরা দিলেন অভিজিত বিনায়ক


Odd বাংলা ডেস্ক: দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে ডঃ অভিজিত বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী ডঃ এস্থার ডুফ্লোর তত্ত্ব, যে এক নয়া দিশা উন্মোচন করেছে, সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাংলার সঙ্গে তাঁদের যে নাড়ির টান তা প্রমাণ হল আলো ঝলমলে নোবেল পুরস্কার প্রদানের রাতে। বাংলার সনাতনী পোশাক পরে সস্ত্রীক নোবেল পুরস্কার নিলেন অভিজিত বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। 

অনুষ্ঠানে অভিজিতবাবুর পরনে ছিল হলুদ পাড়ের সাদা ধুতি এবং ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবী এবং কালো বন্ধগলা, অন্যদিকে অভিজিত-জায়া ফরাসি-মার্কিন অর্থনীতিবিদ এস্থার ডুফ্লোর পরনে ছিল নীল পেড়ে সবুজ শাড়ি সঙ্গে কন্ট্রাস্ট লাল ব্লাউজ। 

ভারতীয় সময় রাত ৯টায় স্টকহোমের কনসার্ট হলে সুইডিশ নোবেল কমিটি অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কারের জন্য তিন জন কৃতির নাম ঘোষণা করলেন। যে তালিকার প্রথমেই ছিল অভিজিত বাবুর নাম। সুইডেনের রাজার হাত থেকে গ্রহণ করলেন নোবেল পদক ও ডিপ্লোমা। এরপর একইভাবে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন এস্থার ডুফ্লোও। 

নোবেল মঞ্চে পুরস্কার গ্রহণ করার নির্দিষ্ট এক পোশাকবিধি রয়েছে। প্রথাগতভাবে পুরুষরা কালো স্যুট এবং সাদা টাই পরেই নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন। কিন্তু এই ব্যতিক্রমী পোশাক পরার জন্য কিন্তু আগে থাকতেই বিশেষ অনুমতিল নিতে হয়েছিল তাঁদের। আর এর আগে কেবল মাদার টেরেজাই শাড়ি পরে নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে উঠেছিলেন। সেবার অবশ্য স্টকহোমে নয়, নোবেল পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল অসলোয়। সব মিলিয়ে প্রথা-ঐতিহ্য মেনে বিশ্ব দরবারে আবারও বাঙালিরই জয়জয়কার। 


Blogger দ্বারা পরিচালিত.