আঘাত লাগলে গাছও মানুষের মতোই আর্তনাদ করে, তা শুনতে পায় ইঁদুর-বাদুড়েরা


Odd বাংলা ডেস্ক: বহুদিন আগে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বলেছিলেন গাছের প্রাণ রয়েছে।তবে সাম্প্রতিককালের গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, গাছ কোনও বাহ্যিক চাপ বা ব্যথার সম্মুখীন হলে বিভিন্ন রকমের শব্দ করে থাকে। 

একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।হবেষণায় দাবি করা হয়েছে, গাছে যখন জল দেওয়া হয় না, বা গাছের যদি কোনও শারীরিক ক্ষতি হয়, তখন গাছ নাকি বিভিন্নরকম শব্দ করে থাকে, যা আমি-আপনি বা কোনও সাধারণ মানুষ শুনতে পান না। বলা বাহুল্য বিষয়টি খুবই আকর্ষণীয় আর এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা। অত্যন্ত কম ডেসিবেলযুক্ত এই শব্দ শুনতে পায় বাদুড়, ইঁদুর এবং অন্যান্য গাছেরা। তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে তামাক এবং টমেটো গাছের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছিল, এমনকী উদ্ভিদ যে শব্দের সৃষ্টি করে তা ১০ সেন্টিমিটার দূর থেকে রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছিল। 

গবেষকরা আরও বলেছেন, 'আমরা টমেটো এবং তামাক গাছ থেকে ১০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থেকে ৬৫ ডিবিএসপিএল আল্ট্রাসনিক শব্দ রেকর্ড করেছি, যা বোঝায় যে এই শব্দগুলি কয়েক মিটার দূরে কিছু প্রাণীর দ্বারা সনাক্ত করা সম্ভব। পাশাপাশি কীভাবে তারা, শব্দ রেকর্ড করে এমন মেশিন ডেভেলপ করল- সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তাঁরা বলেন, 'আমরা ৩৫টি মেশিন লার্নিং মডেল তৈরি করেছি যা উদ্ভিদের শব্দ এবং সাধারণ শব্দগুলির মধ্যে পার্থক্য করতে পারে এবং শুকনো, কাটা বা অক্ষত- সম্পূর্ণ নির্গত শব্দগুলির উপর নির্ভর করে উদ্ভিদের অবস্থা চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল।যার ফলাফলগুলি প্রমাণ করে যে প্রাণী, মানুষ এবং সম্ভবত অন্যান্য গাছপালা গাছের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পেতে একটি উদ্ভিদ দ্বারা নির্গত শব্দগুলি ব্যবহার করতে পারে।

যদিও এটি লক্ষ্য করা গিয়েছে, যে কিছু কিছু গাছপালা আছে, যারা পোকার আক্রমণেও সাড়া দেয়। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই এই গবেষণাটি আরও একবার প্রমাণ করে যে, গাছপালা মানুষের চেয়েও বেশি সংবেদনশীল।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.