নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির আসামীর প্রাণরক্ষার আর্জি খারিজ করার সুপারিশ করল সরকার
Odd বাংলা ডেস্ক: ২০১২ সালের ডিসেম্বরের নির্ভয়া কাণ্ড আজও আজও সারা দেশবাসীর মনের মধ্যে অমলিন। আর সেই নির্ভয়া কাণ্ডে অন্যতম ফাঁসির আসামী বিনয় শর্মার দায়ের করা ক্ষমার আর্জি প্রত্যাখ্যান করার জন্য সুপারিশ করল দিল্লি সরকার। সূত্রের খবর, দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানিয়েছিল বিনয় শর্মা।
প্রসঙ্গত তিহার জেল কর্তৃপক্ষ এই আবেদনের ফাইলটি দিল্লির স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে লেফটেন্যান্ট রাজ্যপাল অনিল বাইজল এবং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের কাছে পাঠানো হয়, তাদের সুপারিশ জানতে চাওয়ার জন্য। ২৩ বছর বয়সী প্যারামেডিক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে অন্যতম আসামী বিজয় শর্মা, নিজের প্রাণভিক্ষার আবেদন করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-এর কাছে একটি ক্ষমা পিটিশন দায়ের করে।
দিল্লির স্বরাষ্ট্রমনন্ত্রীর কথায়, ক্ষমা আবেদনকারী বিনয় শর্মা একটি নৃশংস ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। আর বাকিদেরও এই নৃশংস অপরাধ থেকে বাঁচাতে তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন এই ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি অবশ্যই খারিজ করে দেওয়া উচিত।
ফাইলটি বিবেচনার জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে প্রেরণ করা হবে এবং তারপরে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সুপারিশ-সহ তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হবে। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিনয় শর্মাকে তিহার জেলে রাখা হয়েছে এবং সে ক্ষমার আবেদন করে। প্যারামেডিক ছাত্রূকে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মধ্যরাতে দক্ষিণ দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসের মধ্যে ছয়জন ধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল।
চিকিৎসার জন্য দিল্লি থেকে তাঁকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান তিনি। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রাম সিং তিহার জেলেই আত্মহত্যা করে এবং অপর নাবালক আসামীকে, কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং তাকে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। চতুর্থ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী অক্ষয় কুমার সিং শীর্ষ আদালতে কোনও রিভিউ আবেদন করেনি।
Post a Comment