সুন্দর হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় যেসব জঘন্য উপায় অবলম্বন করে মানুষ
Odd বাংলা ডেস্ক: সৌন্দর্য চর্চায় কত কিছুই না করে থাকে সবাই। চেহারায় একটু লাবণ্য, আকর্ষণীয় ও উজ্জ্বল ভাব আনার জন্য কতই না কষ্ট করে থাকি। আবার চেহারার বয়সের ছাপ এবং বাড়তি ওজন দূর করার জন্য অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট করা হয়। এমনকি ছুরি-কাঁচির নিচে যেতেও দ্বিধা বোধ করেন না অনেকে। সেই প্রাচীন কাল থেকেই একটু সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আবিস্কার হয়েছে নানান ধরনের সৌন্দর্য চিকিৎসা। এদের মধ্যে কিছু কিছু অনেক লোকপ্রিয়তা পেয়েছে আবার অনেকগুলো জঘন্য হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। সেরকমই কিছু অদ্ভুত জঘন্য কিছু সৌন্দর্য চিকিৎসা নিয়ে আমাদের আজকের এই লেখা।
জীবন্ত শামুকের ফেসিয়াল
না শুনে অনেকের গা ঘিন ঘিন করতে পারে। কিন্তু জাপানের বিউটশিয়ানদের আবিষ্কৃত এই সৌন্দর্য চিকিৎসা পেয়েছিল অনেক লোকপ্রিয়তা। এই ফেসিয়াল পদ্ধতিতে মুখের ওপর ছেড়ে দেয়া হয় কিছু জীবিত শামুক। জীবিত শামুকগুলো ঘুরে বেরায় পুরো মুখ জুরে। বলা হয় শামুকের নিচের অংশ যা দিয়ে তারা হাটে তা পেচ্ছল মিউকাস নিঃসরণ করে। এবং এই মিউকাস অনেক বেশি মাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ। মুখের ওপরে ঘুরে বেড়ানোর সময় শামুকের এই প্রোটিন সমৃদ্ধ মিউকাস মুখে লাগে যা ত্বকের বয়সের ছাপ জনিত রিংকেল দূর করে। যদিও এখন ধরা হয় এটি তেমন কার্যকরী নয়।
ফিতাকৃমি ডায়েট
একটু বাড়তি ওজন কমানোর জন্য নানান ধরনের কাজের মধ্যে ডায়েটটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকে। ১৯০০ সালের লোকজন কিভাবে ওজন কমাতো জানেন? এই ফিতাকৃমি ডায়েটের মাধ্যমে। কি? চোখ কপালে উঠে গেছে? হ্যাঁ, কথা সত্যি। একসময় এই ডায়েটিং করে অনেকেই কমিয়েছিলেন ওজন। কিন্তু এই ডায়েটিং এর ফলে মেনিনজাইটিস ও এপিলেপ্সি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় বলে এখন এটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল
নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এটা আবার কি ধরনের ফেসিয়াল? ভ্যাম্পায়ার যেহেতু অবশ্যই এখানে রক্ত সম্পর্কিত কিছু রয়েছে। জি হ্যাঁ, এই ফেসিয়াল মাস্কটি তৈরি করা হয় রক্তের মাধ্যমে। যে এই ফেসিয়াল করাবেন তাকেই ফেসিয়াল তৈরির জন্য দিতে হবে খানিকটা রক্ত। সেজন্যই এর নাম ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল। রক্ত দিয়ে তৈরি এই ফেসিয়াল ত্বকের দাগ, মেছতা ও বয়সজনিত রিংকেল দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। রক্তের প্লাজমায় রয়েছে প্লেটেলেট যা ত্বক থেকে এইসব দাগ ও রিংকেল দূর করতে সাহায্য করে।
ফেইসওয়েভার এক্সারসাইজ মাস্ক
বয়স্কদের মুখের চামড়া ঝুলে পড়ার হাত থেকে বাঁচাবার জন্য জাপানিরা এই মাস্কটি আবিস্কার করেন। ব্যাপারটি তেমন কিছুই নয়। এটি জাপানিজ প্রক্রিয়ায় তৈরি একটি বিশেষ প্রজাতির রাবারের মাস্ক। এই মাস্কটি মুখে পরে থাকতে হয় ৫ থেকে ১০ মিনিট। এবং মুখে পরে থাকার সময় আপনাকে গাইতে হবে গান। মুখের এক্সসারসাইজ করে মুখের রিংকেল ও চামড়া ঝুলে পড়ার হাত থেকে বাচতে অনেকেই কিনে ব্যবহার করেন এই মাস্কটি।
Post a Comment