সন্তানের লিভারের ক্ষতি এড়াতে হবু মায়েরা বর্জন করুন এই পানীয়


Odd বাংলা ডেস্ক: মা হতে চলেছেন ? আর কয়েক মাস পর ছোট তুলতলে হাত পায়ের আদর ভরিয়ে রাখবে আপনাকে ? পুচকের চিন্তার পাশাপাশি নিত্য নতুন খাবার আপনাকে পাগল করে দিচ্ছে ? খালি মনে হচ্ছে এটা খাই সেটা খাই ? কিন্তু ইচ্ছে থাকলেতো আর উপায় থাকে না। এই সময়টা অনেক নিয়ম মেনেই চলতে হয়। কিছু খেতে গেলে বাড়ির বড়রা তেড়ে আসে, তার সাথে ডাক্তারদের হাজারও বারন আছে।

তবে এরা আপনার ভালো চায় বলেই বারন করে, কারন গর্ভাবস্থায় এসব খাওয়া একদমই উচিত নয়। আপনার নিজের সন্তানের জন্য আপনি এটুকু তো করতেই পারেন। যেমন গর্ভাবস্থায় কাচা বা আধসেদ্ধ ডিম খাবেন না, এতে সালমোনেলা ভাইরাস সংক্রমন হয়ে ডাইরিয়া, ফুড পয়েজিং, জ্বর ইত্যাদি হতে পারে।

যদিও শিশুর এতে সরাসরি ক্ষতি না হলেও মায়ের শরীর খারাপের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি হয়। অর্ধেক রান্না করা বা আধা সেদ্ধ মাংস খাওয়া উচিত নয় এই সময়। কারন মাংস ভালো করে সেদ্ধ না হলে তাতে মাইক্রো অর্গানিজম নষ্ট হয়, এতে প্রচন্ড ফুড পয়জন হয়।

এই সময় কাচা সবজি খাওয়া উচিত না, কারন কাচা সবজিতে বিভিন্ন পরজীবী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আনারসে ব্রেমিলিন উতসেচক গর্ভপাতের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে সময়ের আগে গর্ভপাত হতে পারে, তাই এই সময় আনারস না খাওয়াই ভালো।

কাচা পেপে এই সময় একদম খাওয়া উচিত নয়, কারন পেপেতে পেপসিন ও প্যাপাইন ভ্রূণের ক্ষতি করে। মৌরি বা মেথি বেশি খেলে সময়ের আগে বাচ্চার জন্ম হয়, সেক্ষত্রে প্রিম্যাচিওর বাচ্চার জন্ম হয়, তাই এগুলি বেশি না খাওয়াই ভালো।

আনপান্তুরাইজড দুধে অনেক রকম ক্ষতিকর মাইক্রোবস থাকতে পারে যা সন্তান ও মায়ের জন্য ক্ষতিকারক। গর্ভাবস্থায় মদ্যপান করলে শিশুর মস্তিস্ক ও শিরদাড়ায় ক্ষতি হয়, এমনকি মৃত সন্তানও জন্মাতে পারে। এই সময় অতিরিক্ত তেলমশলা, ভাজাভুজি খাওয়া উচিত না।

এবার এসবের পাশাপাশি গবেষণা বলছে কফি বেশি পরিমানে খেলে গর্ভজাত সন্তানের লিভারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন গর্ভাবস্থায় বেশি মাত্রায় কফি খেলে শরীরে বেশি করে ক্যাফিন প্রবেশ করে যার জন্য সন্তানের লিভার বেড়ে উঠতে সমস্যা হয়। এর ফলে সুদুরপ্রসারী ক্ষতিও হয় সন্তানের।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.