শিকলে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ বাবার, একটানা এক বছর ধরে নারকীয় অত্যাচার


Odd বাংলা ডেস্ক: বাবাকে অন্য মহিলার সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় দেখে ফেলেছিল মেয়ে। তারপর থেকেই বাবার চক্ষুশূল ওই মেয়ে। তাই বাড়িতেই তাঁকে ধর্ষণ করত তাঁরই জন্মদাতা পিতা। রাজস্থানের জালোরের এমন ঘটনা সামনে এসেছে গত শুক্রবার। নিজের বাড়ি থেকে কোনও মতে পালিয়ে মেয়েটি আশ্রয় নিয়েছিল তাঁর মামার বাড়িতে। সেখান থেকেই অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশে। আজ, সোমবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির বিচ্ছেদ হয়েছিল বহুদিন। মেয়েকে নিয়েই থাকতেন তিনি। মেয়েটির মামার অভিযোগ অত্যন্ত বদমেজাজি, মদ্যপ একজন মানুষের সঙ্গে তাঁর বোন থাকতে পারেননি। মেয়ে ও তাঁর মা দু’জনকেই মারধর করতেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর মেয়ের উপর অত্যাচার বেড়েছিল।

নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অন্য মহিলার সঙ্গে বাবাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন তিনি। তারপর থেকে অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ হয়। চেন দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে ঘরের এককোণে ফেলে রেখেছিলেন বাবা। ঠিকমতো খাবার, জলও দেওয়া হত না তাঁকে। দিনের পর দিন লাগাতার যৌন নিপীড়ন চালাতেন বাবা। চিৎকার করলেই কপালে জুটত বেধড়ক মার। কোনওরকমে চেন খুলে পালিয়ে যেতে পারেন তিনি।

স্টেশন হাউস অফিসার গিরধর সিং জানিয়েছেন, মেয়েটিকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁর দুই হাতে, পায়ে দগদগে ক্ষত ছিল। সারা শরীরে একাধিক কালশিটের দাগ। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.