যে শিশুদের গায়ের রঙ ছিল সবুজ, খেত শিমের বীজ


Odd বাংলা ডেস্ক: কগস্টেলের র‍্যালফ আর নিউব্রিজের উইলিয়াম নামের দুজন লেখক সবুজ রঙা শিশুদের কথা লিখেছেন। যাদের গায়ের রং ছিল সবুজ। অনেকটা মার্ভেলের হাল্কের মতো। কয়েক যুগ ধরেই বহু আলোচনা আর গবেষণা হয়েছে এই সবুজ শিশুদের অস্তিত্ব এবং জীবন নিয়ে।এসব লেখালেখি থেকে দেখা যায় দ্বাদশ শতকের দিকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে উলপিট নামের এক গ্রামে হাজির হয় দুই সবুজ রঙা শিশু। এরা ছিল ভাই বোন। ছোট্ট এই ভাইবোনকে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত  দেখাচ্ছিল, কিন্তু তাদের দেখে উল্টো ভয় পেয়ে যায় গ্রামবাসী। কারণ, এই দুই শিশুরই গায়ের রং ছিল সবুজ।

তাদের মুখের ভাষা বুঝতে পারছিলো না কেউ। কোথায় তাদের দেশ, কোত্থেকে কীভাবে এলো তা নিয়ে বিশাল রহস্য তৈরি হলো গ্রামে। সে যাহোক- ভয়, দ্বিধা আর বিভ্রান্তি কাটিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হলো উইলকিস এলাকার স্যার রিচার্ড ডি কেইনের বাড়িতে।

এই অদ্ভুত দর্শনের দুটি শিশুকেই ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। গ্রামবাসী তাদের খাবার দিল। কিন্তু কোনো খাবারই তারা খেতে পারছিল না। কত খাবারের ছড়াছড়ি। হঠাৎ করেই বাচ্চা দুটোর চোখ পড়ে খেতে দেওয়া খাবার শিমের দিকে। এরপর তারা খেতে আগ্রহী হয়। শিম হাতে নিয়ে শিমের বীচি খাবার চেষ্টা করে তারা। এ অবস্থা দেখে সবাই তাদের শিখিয়ে দেয় কীভাবে শিমের বীজ খুলে খেতে হয়। এরপর বেশ কিছুদিন ধরে তারা কেবল শিমের বীজই খেতে থাকে।

কিন্তু ছোট ছেলেটি দিন দিন রোগা আর অসুস্থ হয়ে যেতে থাকে। তার মনমরা ভাবও কাটে না। কিছুদিনের মধ্যেই মারা যায় ছেলেটি। অন্যদিকে মেয়েটি সুস্থ থাকে এবং কিছুদিনের মধ্যে তার গায়ের রং সবুজ থেকে স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিছুদিন পর সে ধীরেধীরে ইংরেজি ভাষা শিখতে থাকে এবং তাকে খ্রিস্টধর্মের দীক্ষা দেওয়া হয়। অন্য মানুষের মতোই স্বাভাবিক জীবন পায় সে।

মেয়েটির ইনঃরেজি শেখার পর উন্মোচন হয় রহস্যের। সে জানায়, তারা ভাইবোন এমন এক জায়গা থেকে এখানে এসেছিল যেখানে কোনো সূর্য নেই অথচ আলো রয়েছে সবসময়ই! এক মিষ্টি শব্দের টানে তারা এক অদ্ভুত পথের মাদ্ধমে পৃথিবীতে এসে পরে। এই সবুজরঙা ভাইবোনকে নিয়ে পরবর্তীকালে বহু গল্প-কাহিনীর সাথে হয়েছে বিস্তর গবেষণাও। তবে ঘটনা যাই হোক, সবুজ রঙা ভাইবোনের এই গল্প এখনো অমীমাংসিত রহস্যই রয়ে গেছে! 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.