আজ ৪ ডিসেম্বর, কোন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পালিত হয় নৌ-দিবস, জেনে নিন


Odd বাংলা ডেস্ক: আজকের দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়ে থাকে ভারতীয় নৌসেনা দিবস হিসাবে। কিন্তু জানেন কি, কেন আজকের দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে ইতিহাসের পাতায়? সাল ১৯৭১, চলছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। সেইসময়ে করাচি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল, অপারেশন ট্রিডেন্ট। আর এই অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রথম অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ব্যবহার করেছিল। 

অপারেশনটি সংগঠিত হয়েছিল রাতে, ডিসেম্বরের ৪-৫ তারিখে। এই অপারেশন চলাকালীন পাকিস্তানি জাহাজগুলি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে ভারতীয় জাহাজগুলির কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার দিন গুজরাতের ওখা বন্দর থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে যাওয়ার জন্য় রওনা হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ, যেগুলি হল- আইএনএস নিপাত, আইএনএস নির্ঘাত এবং আইএনএস বীর। অপারেশনের সময়ে এই তিন যুদ্ধজাহাজ অসাধারণ ভুমিকা পালন করেছিল।  

রাত্রিবেলা করাচি উপকূল থেকে ৭০ মাইল দক্ষিণে পৌঁছায় এই তিন যুদ্ধজাহাজ। এরপর পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ পিএনএস খাইবারকে অ্যান্টিশিপ মিসাইল দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। সফল এই অভিযানে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় নৌসেনাদের বীরত্বের সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন- সারা দেশের গর্ব, ইনিই হলেন ভারতীয় নৌবাহিনির প্রথম মহিলা পাইলট

নৌ দিবস উপলক্ষে নৌসেনা বাহিনি মুম্বইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় একটি বিট রিট্রিট অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌবাহিনী হ'ল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সামুদ্রিক শাখা এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন এর প্রধান। মারাঠা সম্রাট ছত্রপতি শিবাজিকে 'ভারতীয় নৌবাহিনীর জনক' হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

প্রতি বছর যৌথ অনুশীলন, মানবিক মিশন এবং ত্রাণ কার্যক্রম, সামুদ্রিক সীমানা সুরক্ষিত করা এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই কাজ করার আহ্বান জানিয়েই পালিত হয় নৌ দিবস। এই উপলক্ষ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ও বিমাগুলি দেখার জন্য দর্শনার্থী বিশেষত স্কুল শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.