প্রথম স্ত্রী ডিভোর্স দেননি, তাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হেমা-কে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র


Odd বাংলা ডেস্ক: তিনি ছিলেন বলিউডের 'ড্রিম গার্ল', আর আর একজন ছিলেন বলিউডের আসল হি-ম্যান। দুজনের যখন দেখা হল, তখন কী হল? যা হল তা কোনও বলিউডের প্রেম-কাহিনি থেকে কোনও অংশে কম নয়। 

সাল ১৯৭০, 'তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান' ছবির শ্যুটিং-এর সেটেই হেমার প্রেমে পড়লেন ধর্মেন্দ্র। সেই সময় ধর্মেন্দ্র ছিলেন একজন পুরদস্তুর বিবাহিত, স্ত্রী প্রকাশ কৌর এবং দুই ছেলে সানি এবং ববি-কে নিয়ে ছিল তাঁর ভরা সংসার। কিন্তু কোনও প্রতিবন্ধকতাই ধর্মেন্দ্রকে হেমা মালিনির প্রেমে পড়ার হাত থেকে আটকাতে পারেনি। ইতিমধ্যেই হেমাকে বিয়ে করার জন্যও পুরুষের লাইন লেগে গিয়েছিল।শুধু তাই নয় সঞ্জীব কুমার এবং জিতেন্দ্রত বিয়ের প্রস্তাবও নাকোচ করে দিয়েছিলেন ড্রিম গার্ল। 

প্রাথমিকভাবে ধর্মেন্দ্রকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না হেমা। কারণ একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাননি, কিন্তু অদৃষ্টে তো অন্যকিছুই লেখা ছিল। ধীরে ধীরে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রই প্রেমে পড়লেন হেমা। কিন্তু এই সম্পর্ক কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী প্রকাশ কৌর। তিনি ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দিতেও রাজি ছিলেন না। আর সেই কারণেই ধর্মেন্দ্র এবং হেমা দুজনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। 

আর পাঁচজন মেয়ের বাবার মতো হেমার বাবাও চাননি তাঁর মেয়ে কোনও বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করুক, তাই তাঁদের বিয়ে ঘিরে তীব্র আপত্তি ছিল তাঁর। তবে অবশ্য বাবার মৃত্যুর পরই ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেন হেমা, তবে তাঁদের বিয়েতে হেমার মা কিন্তু খুবই আহত হয়েছিলেন। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, হেমা এবং ধর্মেন্দ্র একে অপরের প্রেমে এতটাই পাগল ছিলেন যে, নিজেদের পরিবারের বিরুদ্ধে যেতেও দুবার ভাবেননি তাঁরা। 

অত্যন্ত গোপনভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। হেমা মালিনি যেহেতু আয়েঙ্গার, সেহেতু আয়েঙ্গার মতেই তাঁদের বিয়ে হয়। হেমা মালিনি তাঁর জীবনীতে বলেছেন, ধর্মেন্দ্রর মধ্যে তিনি তাঁর মা'কে খুঁজে পেয়েছিলেন, তাঁর মায়ের মতোই শান্ত এবং কঠোর ছিলেন ধর্মেন্দ্র। শুধু তাই নয়, একইভাবে তাঁকে খুব রোমান্টিকও বলে বর্ণণা করেছেন হেমা মালিনি। এখনও যখন দুই তারকা একে অপরের দিকে তাকান, তখনও মন হয় এই যেন তাঁদের প্রথম বার দেখা।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.