আজ কী রয়েছে আপনার ভাগ্যে, রইল আজকের রাশিফল
Odd বাংলা ডেস্ক; আপনি নিজেই আপনার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শতকরা ৯০ থেকে ৯৬ ভাগ। বাকিটা আমরা ফেট বা নিয়তি বলতে পারি। ভাগ্য অনেক সময় অনির্দিষ্ট কারণে আপনা থেকেও গতিপথ বদলাতে পারে। এখানে রাশিচক্রে আমি ‘নিউমারলজি’ বা ‘সংখ্যা-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি।
মেষ ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল। ভর # ৬
ছোটবেলায় এবং এখনো মহান শিল্পী অখিল বন্ধু ঘোষের একটা গান আমাকে মুগ্ধ করে: ওই যে আকাশের গায়/ দূরের বলাকা ভেসে যায়/ ওরা বাসা বাঁধে না/ ওরা চঞ্চল, ওরা উদ্দাম/ ওরা কারোর ব্যথায় কাঁদে না।...প্রিয় মেষ, গানটিতে মানুষের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিবৃত হলো, তার সঙ্গে আপনার চরিত্রের প্রায় হুবহু মিল দেখা যায়। সারা জীবনেও আপনার এই ঘোরাঘুরি, ওড়াউড়ি শেষ হবে না। আপনি চিরকালই দিগন্তের পথযাত্রী। চলতি সপ্তাহে যদি আপনি ভ্রমণে বের হন, তাহলে আমি তো অন্তত অবাক হব না। কল্যাণ হোক!
বৃষ ২১ এপ্রিল-২১ মে। ভর # ১
বৃষ রাশির উজ্জ্বলতম পুরুষ রবীন্দ্রনাথের একটি গানের কথা স্মরণ করা যাক: ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা—।...চলতি সপ্তাহে বৃষের মনে একটু একাকিত্ব-উদাসীনতার ভাব দেখা দিতে পারে। এই নিঃসঙ্গ মুহূর্তগুলো তাঁর শক্তি সঞ্চয়ের সময়। কাজেই প্রিয় বৃষ, চলতি সপ্তাহে কাজ কমিয়ে ভাবনাটাকে একটু বাড়িয়ে দিন। যেতে হবে আপনাকে বহুদূর। লাকী আখান্দের সুরে নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কণ্ঠে আমার লেখা একটি গান আপনি শুনে থাকতেও পারেন: আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে/ মনে পড়ল তোমায় অশ্রুভরা দুটি চোখ/ তুমি ব্যথার কাজল মেখে/ লুকিয়েছিলে ওই মুখ।...গানটি খুঁজে পাওয়া গেলে নতুন করে একবার শুনে নিন। জয় হোক!
মিথুন ২২ মে-২১ জুন। ভর # ৬
এত সহজে ভেঙে পড়া, মিথুন আপনাকে মানায় না। মানুষের জীবনে সুখ–দুঃখ, সমস্যা, আনন্দ সবই আছে। আপনি পজিটিভ চরিত্রের মানুষ। আপনি নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে যেমন দক্ষ, তেমনি অন্যের মধ্যেও পরিবর্তন আনতে পারদর্শী। আগে নিজের কথা ভাবুন। নিজের মধ্যে কী পরিবর্তন আনবেন, সেটা ভেবে বের করুন। বিপ্লবী মিথুন, আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ছিলেন মিথুন রাশির জাতক। সবেমাত্র আমরা পার হয়ে এলাম তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। নজরুল তাঁর সংগ্রামী জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন লড়াই কীভাবে করতে হয়। রোমান্টিকতাও তাঁর মধ্যে ছিল। অর্থাৎ, তিনি একাধারে বিপ্লবী ও প্রেমিক ছিলেন। আসুন, নজরুলের গান, কবিতা, গদ্য ইত্যাদি পড়ি, তাঁর জীবনের ইতিহাসটাকে জানি। এ থেকে আমরা সামনে চলার অনুপ্রেরণা পাব। জয় হোক!
কর্কট ২২ জুন-২২ জুলাই। ভর # ২
আমরা পা দিয়ে দৌড়াই, আবার মাথা দিয়েও দৌড়াই। মাথা দিয়ে যে দৌড়, সেটা হচ্ছে মন বা চিন্তার দৌড়। এর গতি ও দ্রুততার সঙ্গে এমনকি কম্পিউটারও তুচ্ছ গণ্য হবে। মানে, হয় আর কি। যুধিষ্ঠিরকে অত্যন্ত দুরূহ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁর জীবনের একটা কঠিন পরীক্ষায়। প্রশ্নটি ছিল: পৃথিবীতে এমন কী আছে যা তৃণ অর্থাৎ ঘাসের চেয়েও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। উত্তরে মহাজ্ঞানী যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, ‘মানুষের চিন্তা।’ প্রিয় পাঠক, ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখুন, কী সত্যটাই না উচ্চারণ করেছিলেন ওই মহা দার্শনিক। তবে হ্যাঁ, আমি বলছি চিন্তা নয়, দুশ্চিন্তার ঘাসকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে দেবেন না। কিছুতেই না। চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার কিছু পদ্ধতি আছে, তার মধ্যে একটা হলো ধ্যান বা মেডিটেশন। উল্টে দেখতে পারেন আমার লেখা প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ভাগ্য জানার উপায় বইটি। ধ্যান হচ্ছে মানুষের ইচ্ছাশক্তি বাড়ানোর একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। শুভ হোক আপনার!
সিংহ ২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট। ভর # ১
ডেঙ্গুকে করি না ভয়, চিকুনগুনিয়া থাক দূরে; বাঙালি বীরের জাতি/ কলেরা-ডায়রিয়া আজ/ গেছে দেখো কোথায় সরে।...আমরা বাংলায় লিখি ও বলি ডেংগু, ডেঙ্গু; তবে মূল উচ্চারণটা হচ্ছে ডেংগি বা ডেঙ্গি। যাকগে, ওটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। যে বানান এবং উচ্চারণটা বহু লোকের মুখে বহুকাল ধরে চলে আসছে, সেটা এমনকি অভিধানেও মেনে নেওয়া হয়ে থাকে। যেমন ইংরেজি ভেনাস, জেনেভা ইত্যাদি কিছু শব্দের প্রকৃত উচ্চারণ হচ্ছে ভিনাস, জেনিভা। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মুখে প্রচলিত শব্দ এবং তাদের লিখিত বানান ভুল হলেও ওটাকে শুদ্ধ হিসেবে মেনে নেওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। শিশু, কিশোর ও তরুণদের মধ্যে ইদানীংকালে এসে একটা সমস্যা তো নয়, সংকট দেখা দিয়েছে। বাঙালি হিসেবে এই নিয়ে আমরা খুব বেশি দূর যেতে পারব বলে আমার তো মনে হয় না। সে যা-ই হোক, প্রিয় সিংহ, রাশিফল লিখতে গিয়ে আমি এখানে বেশি মাস্টারি ফলাতে চাই না। ওটা ভাষাবিদদের আওতাধীন কাজ। চলতি সপ্তাহে আপনি ৬০ ভাগ সন্তোষজনক অবস্থায় থাকবেন।
কন্যা ২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর। ভর # ২
আমার বাবা সিলেটের মোশাহেদ উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানি যুগের মানুষ। ওই সেই ব্রিটিশ যুগেই তিনি তাঁর ছেলেমেয়ের নাম বাংলা ভাষায় রাখতেন। যেমন নেহার, হেনা, কলি, ননী। শরৎচন্দ্রের দেবদাস থেকে নেওয়া তাঁর সবচেয়ে আদরের মেয়ে পার্বতী থেকে পারু, আমার সেজ বোন। এরপর হাসি, তারপরের জন ছানা ইত্যাদি। বড় দুই বোনের পর ভাই ছিলেন কলি—কন্যা রাশির জাতক। তিনি প্রবাসে প্রয়াত। আমরা তাঁকে বড় ভাই বলে ডাকতাম। তাঁর মধ্যে চেহারার ও প্রতিভার অদ্ভুত একটা সংমিশ্রণ ছিল। চেহারাটা এমন ছিল যে এক হাজার লোককে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে দিলে প্রথম আপনার চোখ গিয়ে পড়বে কলি ভাইয়ের ওপর। এত শান্ত স্বভাবের মানুষ আমি আর দেখিনি। ছিলেন স্বশিক্ষিত মানুষ। যৌবনে চলে গিয়েছিলেন লন্ডন। তাঁর স্ত্রী রাশিদা চৌধুরী ছিলেন মূলত ভারতের লক্ষ্ণৌ শহরের মেয়ে। লন্ডনেই তাঁদের পরিচয় এবং আমার বাবা ও ভাবির বাবার সম্মতিক্রমে লন্ডনেই বিয়ে। কন্যা যদিও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকেন, কলি ভাইয়ের মধ্যে আমরা তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা খুঁজে পাইনি। তবে তাঁর জীবন ছিল সাফল্যে পরিপূর্ণ। প্রিয় কন্যা, আপনি আপনার জীবনে যেভাবেই হোক যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং সফল হবেন। আসুক নতুন দিন!
তুলা ২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর। ভর # ২
কন্যা রাশিতে কলি ভাই, অর্থাৎ বড় ভাইয়ের কথা লিখলাম। মেজ ভাই প্রবাসে প্রয়াত ননী চৌধুরী ছিলেন তুলা রাশির জাতক। দুই ভাই পিঠাপিঠি বন্ধুর মতো ছিলেন, যদিও বিপরীতমুখী। ইনি ছিলেন স্কুলজীবনে ন্যাশনাল গার্ড, এরপর ঢাকা ফ্লাইং ক্লাবের সদস্য। ওখান থেকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাইলট। পাকিস্তানের কুহাট শহরে ছিল তাঁর প্রশিক্ষণকেন্দ্র। ভালোই করছিলেন, কিন্তু টিকতে পারলেন না। ছিটকে এসে হলেন আনসার অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডজুটেন্ট। ননী ভাই ছিলেন আবার প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষী। বলতেন, ‘দ্য স্কাই ইজ মাই লিমিট।’ তাঁর পরবর্তী কর্মস্থল সিলেটের চা–বাগানের ম্যানেজার। বিদেশি ডানকান ব্রাদার্স। দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পর তিনি সপরিবারে লন্ডনে গিয়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তুলা রাশির মেজ ভাইয়ের বন্ধুমহল ছিল সীমাহীন ব্যাপৃত। প্রিয় তুলা, নারী ও পুরুষ আপনার জীবনে এখন এক শুভ পরিবর্তন আসবে। জয় হোক!
বৃশ্চিক ২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর। ভর # ২
কোনো এক কালে কক্ষচ্যুত নাম দিয়ে একটি রেডিও নাটক লিখেছিলাম। খুবই কাঁচা হাতে লেখা। ওটা কখনো মাইক্রোফোনের মুখে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। বিখ্যাত প্রযোজক, চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, গায়ক ও অসাধারণ সব সুরের স্রষ্টা প্রয়াত আজমল হুদা মিঠু, অর্থাৎ আমাদের মিঠু ভাই নাটকটির স্ক্রিপ্ট পড়ে পছন্দ করেছিলেন। তাঁর সৃজনশীল কাজের ব্যাপারে তিনি তাঁর স্ত্রী, অর্থাৎ আমাদের সালমা ভাবির ওপর প্রচুর নির্ভরশীল ছিলেন। যা-ই হোক, মিঠু ভাই আমাকে বললেন, ‘দেখো কাওসার, তোমার নাটক সুন্দর হয়েছে; কিন্তু এত অল্প চরিত্রের নাটক তো আমার পোষাবে না। চরিত্রের সংখ্যা বাড়াও। রেডিও নাটকে আমার অনেক বেশি ছেলেমেয়ের জন্য সুযোগ করে দেওয়া চাই।’ এখানে মনে করিয়ে দিই যে স্বাধীন বাংলা বেতারে জল্লাদের দরবারে সিরিজ নাটক করে তিনি মুখ–হাত পাকিয়েছিলেন, বাচিক শিল্পী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরপর ঢাকায় ফিরেই তিনি লাগাতার রেডিও নাটক করতে লাগলেন। অন্যদিকে মেতে উঠলেন সংগীত ও চলচ্চিত্র নিয়ে। প্রিয় বৃশ্চিক, আপনার মধ্যে রয়েছে বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ অবধি দেখার একটা চোখ। দূরদর্শিতা। চলতি সপ্তাহে তো বটেই, আগামী অনেককাল আপনি আপনার লক্ষ্য ও পরিকল্পনাকে সত্যে পরিণত করতে পারবেন। সাফল্য আসুক আপনার জীবনে!
ধনু ২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর। ভর # ৯
ছেলেবেলায় শোনা মান্না দের একটি গান আমাকে এখনো টানে: আমি আজ আকাশের মতো একেলা/ একেলা একেলা..., গানটি যদি পান, তাহলে শুনে নিন একবার। এই জন্য যে আপনার চলতি সপ্তাহটা রূপ নিতে যাচ্ছে এই গানের আবহে। কল্যাণ হোক!
মকর ২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি। ভর # ৩
ভ্রমণ, আড্ডা, আনন্দ, হইচই—এ নিয়ে কেটে যাবে আপনার চলতি সাতটি দিন। এ কথা শোনার পর আর তো হাঁড়ির মতো মুখ কালো করে রাখার কোনো অবকাশ রইল না। এখন তারুণ্য যার, উৎসবে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়। তরুণ মকর ছাড়াও বয়সে যাঁরা একটু ভারী, তাঁরাও কিছু না কিছু উৎসব এবং আনন্দের ভাগ পাবেন। স্বাস্থ্য থাকবে ফিটফাট। আবার ফিরে যাই রবীন্দ্রনাথের গানে: তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে টুকরো করে কাছি/ আমি ডুবতে রাজি আছি...।
কুম্ভ ২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি। ভর # ৯
কুম্ভ রাশির নারী রুমনা ও তাঁর ৯২ বছরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জনাব বদরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বর্তমান সময়টায় আছেন একান্ত কাছাকাছি। খুব আহ্লাদে কাটছে দুজনের দিন। রুমনা এসেছেন দূর সিডনি থেকে। মাসখানেকের মধ্যে মা–বাবাকে নিয়ে ফিরে যাবেন ওখানে। ওখানে আবার রুমনার ছোট ভাই সাইফ ও মুনা অধীর আগ্রহে পথ চেয়ে বসে আছেন। রুমনা, সাইফ (বাবু), মুনা—বলা বাহুল্য, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এই তিন ভাইবোন সাংস্কৃতিক ও সাংগীতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন। রুমনা খুব ছোট্ট বয়সেই নাচে–গানে মাতিয়ে রাখতেন দর্শকদের। মুনা মডেলিং ও অভিনয়ে অনেকখানি খ্যাতি পেয়েছিলেন। এখানে বলি, রুমনার মা সামিয়া চৌধুরী ও তাঁর বোন ফরিদা চৌধুরী (হাসি) পিঠাপিঠি বোন। সামিয়া বৃশ্চিক রাশির নারী। ছোটবেলায় সিলেট শহরে মঞ্চে একসঙ্গে নাচ করতেন। আমার মনে আছে এই জন্য যে আমি তাঁদের ছোট ভাই। রাশি যা-ই হোক, চলতি সপ্তাহটি কুম্ভ নারী-পুরুষের জন্য একটি আনন্দঘন সময় হবে।
মীন ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ। ভর # ৩
মীন নারী-পুরুষের মধ্যে এখন আসবে এক বিশাল কর্মচঞ্চলতার এক বর্ধিত সময়। ব্যস্ততার অর্থই আমি সব সময়ই বলি সফলতার বার্তা। তাহলে প্রিয় মীন, তৈরি হয়ে নিন আনন্দিতচিত্তে কাজে নামার। আপনার কাজকর্মের সাফল্য কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। জয় হোক!
Post a Comment