হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে এনকাউন্টারে নিহতের স্ত্রী চাইলেন সরকারি চাকরি, সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ


Odd বাংলা ডেস্ক: হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত চারজনকে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। এর পরে অবশ্য ফরেন্সিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে যে, ওই চারজনই আসল অপরাধী। এই ঘটনায় অন্যতম দোষী চেন্নাকেশভুলুর স্ত্রী রেণুকা সরকারি চাকরি দাবি করলেন।

আরও পড়ুন- তরুণী পশু চিকিৎসকের দেহে পাওয়া গেল এনকাউন্টারে নিহত ৪ জনের ডিএনএ: ফরেন্সিক

রেণুকার দাবি, তাঁর স্বামী আর তাঁর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে পারবেন না, কারণ, সে আর বেঁচে নেই, তাই সরকারের উচিত একটি সরকারি চাকরি দিয়ে তাকে সাহায্য করা। অন্তঃসত্ত্বা রেণুকা আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জানা যায় তিনি সুস্থই রয়েছেন। 

এরপর সংবাদমাধ্যমকে রেণুকা বলেন, 'আমার সুস্থ হতে ১০০০ টাকা খরচ হয়েছে, আমরা গরীব মানুষ। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁদের একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছেন। তাই সরকারের উচিত আমাদের একটা দুই কামড়ার ফ্ল্যাট এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া।'

প্রথমে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রেণুকা। তারপর  তাঁকেও মেরে ফেলার অনুরোধ করেছিলেন তিনি, এরপর হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি করেছিলেন কারণ তিনি কোনওভাবেই মানতে চাইছিলেন না তাঁর স্বামী ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করতে পারেন বলে।
আরও পড়ুন- হায়দরাবাদে গণধর্ষণের দিন কী ঘটেছিল সেই রাতে! প্রকাশ্যে এল সিসিটিভি ফুটেজ
Blogger দ্বারা পরিচালিত.