হায়দরাবাদে গণধর্ষণের দিন কী ঘটেছিল সেই রাতে! প্রকাশ্যে এল সিসিটিভি ফুটেজ


Odd বাংলা ডেস্ক: তেলেঙ্গানায় তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে অগ্নিদগ্ধ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। নির্ভয়া কাণ্ডের এতগুলি বছর কেটে যাওয়ার পরেও হায়দরাবাদের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছিল যে, সময় বদলালেও পরিস্থিতি এতটুকুও বদলায়নি। হায়দরাবাদের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ঘটনার দশ দিনের মাথায় চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে পুলিশ। একদিকে যেমন অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি পেয়েছে বলে খুশি একাংশ তেমনই অন্যদিকে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা থেকে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই চার অভিযুক্তকে হত্যা করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবী-সহ রাজনীতিবিদদের একাংশ।

আর এবার প্রকাশ্যে এল সেই রাতের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, সেদিন রাতে কী ঘটেছিল ওই টোল প্লাজায়। গোটা ভিডিওটির কয়েক সেকেন্ডের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি ট্রাকের হেডলাইটটি চালু হয়, এবং ট্রাকটি আস্তে আস্তে চলতে শুরু করে। এরপর একটি টোল লেনে প্রবেশ করে সেই অঞ্চলটি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। 

তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২৭ নভেম্বর রাতে। আর টোল প্লাজায় ট্রাকটি পার্ক করে রাখা হয়েছিল ২৬ তারিখ রাতেই। সিসিটিভি ফুটেজে ওই ট্রাকটির পুঙ্খানুপুঙ্খ নড়াচড়া ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। সঙ্গে আরও ধরা পড়েছে যে, ঘটনার দিন ওই তরুণী তাঁর স্কুটারটি ওই ট্রাকের কাছে পার্ক করেছিলেন। যে চার অভিযুক্ত ওই কাণ্ডটি ঘটিয়েছিল, সেই সময়ে তারা ওই ট্রাকের মধ্যেই মদ্যপান করছিল বলে খবর। 

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এরপরই তারা ওই তরুণীর স্কুটারের টায়ার পাঙচার করে দেয় এবং তাঁকে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করে। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে এর কোনও কিছুই রেকর্ড করা নেই, তবে ট্রাকটি যখন টোল প্লাজা ছেড়ে যাচ্ছিল তখন ওই তরুণী অজ্ঞান অবস্থায় ওই ট্রাকেক মধ্যে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রসঙ্গত এই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই টোল প্লাজায় গিয়ে ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর খুজে বের করে পুলিশ। এরপর ট্রাকের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে ট্রাকটি চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভুলু এবং মহম্মদ আরিফ চালাত। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, টোল প্লাজা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি পেট্রল পাম্প থেকে ওই তরুণীর দেহ পোড়ানোর জন্য পেট্রল কিনেছিল। প্রথমে একটি পেট্রল পাম্প তাদের বোতলে করে পেট্রল বিক্রি করতে অস্বীকার করে, এবং তাদের সন্দেহভাজন মনে করে তাদের বেশ কিছুক্ষণ ধাওয়াও করে। তারপর অভিযুক্তরা অন্য একটি পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল কেনে। 

এরপর ওই দ্বিতীয় পেট্রল পাম্পের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই চারজনের একজনের বিবরণ শুনে তার একটি স্কেচ বানানো হয় এবং তার সূত্র ধরেই বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর শনিবার ভোররাতে হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে পুলিশ। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.