মাসিকের সময় সহবাস কি আদৌ উচিত?
Odd বাংলা ডেস্ক: অনেকেই মনে করে পিরিয়ডের সময় সেক্স করাটা অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া অনেকের মতেই পিরিয়ডের রক্ত একটা অপবিত্র, নোংরা এবং লজ্জাকর জিনিস। এটা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা উচিত। কিন্তুএটা আসলে একটা খুব স্বাভাবিক শারীরিক তরল। আর এটা কোন ভাবেই ছেলেদের পেনিস, বা মেয়েদের প্রজনন অঙ্গ গুলোকে ক্ষতি করে না। তাই পিরিয়ডের সময় সেক্স করা পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর।তবে কারো যদি STD (sexually transmitted diseases) থেকে থাকে তবে পিরিয়ডের সময় তা আরোসহজে পরিবাহিত হতে পারে অন্যের শরীরে। সে ক্ষেত্রে কনডম ব্যাবহার করে সেক্স করাই ভাল।
পিরিয়ডের সময় সেক্স অনেকেরই অপছন্দ কেননা রক্ত সেক্সের মাঝেঝামেলা বাধাতেই পারে। সেক্ষেত্রে সেক্স শুরু করার আগেই তোয়ালে বা অন্য বেড শীট বিছিয়ে নেওয়া উচিত। এতে রক্ত পড়লেও তা সহজে ধুয়ে ফেলতে পারবেন। পিরিয়ডের সময় শুয়ে থাকা অবস্থায় পা উচু করে ধরলে ব্লিডিং ধীর গতিতে হয়। তাই এ পজিশনে সেক্স করা ভাল। তবে অন্যান্য পজিশনও সাবধানতার সাথে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এছাড়া menstrual cups ব্যাবহার করতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় ওরাল সেক্স অনেকের কাছেই বিব্রতকর লাগে। তবে অনেকেই এটা করে থাকে। পিরিয়ডের সময় মেয়েদের ভ্যাজায়নাতে রক্ত লেগে থাকে বলে অনেক ছেলেই সে স্বাদ পছন্দ করে না। অনেক ছেলেই আবার পিরিয়ডের সময় ওরাল সেক্স দিতেভালবাসে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক মেয়েই পিরিয়ডের সময় ওরাল সেক্স চায় না, এবং অস্বস্তি বোধ করে, আবার অনেকেই বেশ এনজয় করে। দুই জনের মানসিকতার উপর নির্ভর করে তাই এসময় ওরাল সেক্স করা উচিত। তবে এসময় ওরাল সেক্স করলে কোন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যদিনা কারো STD থাকে।
অনেক মেয়ের মতে পিরিয়ডের সময়সেক্স করলে পিরিয়ডের ব্যাথা কমে। এছাড়া এসময় সেক্সের ফলে পিরিয়ডের ধারা কমে যেতে পারে, বা একবার ইন্টারকোর্সের পর পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সেক্সের সময় অর্গাসোমের ফলে হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে এটা হয়ে থাকে। এছাড়া অর্গাসোম জরায়ুকে স্টিমুলেট করে।
পিরিয়ডের সময় ইন্টারকোর্সের ফলে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবু সাবধানতারজন্য কনডম ব্যাবহার করা ভাল।।
পিরিয়ডের সময় সেক্স একটা খুব সাধারন ব্যাপার। যদিও অনেক সমাজেই এটা অনুচিত হিসাবে দেখা হয়। আপনি করবেন কিনা তা একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যাপার। তবে কিছু সাবধানতা গ্রহন করে করুন। heavy flow এর দিনে না করাই ভাল, কারন এতে ঝামেলাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে সহজেই। কিন্তু মনে রাখবেন এখানে অস্বাস্থকর কিছু নেই।
*
পিরিয়ডের সময় দাম্পত্য এবং কিছু জরুরী স্বাস্থ্য সচেতনতা: এই পিরিয়ডের সাথে যেহেতু নারীর সন্তান ধারণের ব্যাপারটি জড়িত, সেহেতু দাম্পত্য জীবনও পিরিয়ড দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত। পিরিয়ড সম্পর্কে নানা ভুল ধারণা থাকার কারণে দেখা দেয় নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা এবং দাম্পত্যেও তৈরি হয় কিছু বিব্রতকর মুহূর্ত। পিরিয়ডের সময় কি যৌনতা নিরাপদ, পিরিয়ডে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, এ সময়ে নারীদের খিটখিটে মেজাজ, নানান কুসংস্কার ইত্যাদি অনেক রকম প্রশ্নের জবাব দিতে এই ফিচার।
পিরিয়ড প্রত্যেক সুস্থ স্বাভাবিক নারীর জীবনে একটি অতি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং নারী স্বাস্থ্যের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। এই পিরিয়ডের সাথে যেহেতু নারীর সন্তান ধারণের ব্যাপারটি জড়িত, সেহেতু বলাই বাহুল্য যে দাম্পত্য জীবনও পিরিয়ড দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত। পিরিয়ড সম্পর্কে নানা ভুল ধারণা থাকার কারণে দেখা দেয় নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা এবং দাম্পত্যেও তৈরি হয় কিছু বিব্রতকর মুহূর্ত। পিরিয়ডের সময় কি যৌনতা নিরাপদ, পিরিয়ডে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, এ সময়ে নারীদের খিটখিটে মেজাজ, নানান কুসংস্কার ইত্যাদি অনেক রকম প্রশ্নের জবাব দিতে এই ফিচার। ১) একটি ভয়াবহ কুসংস্কার প্রচলিত আছে যে পিরিয়ডের সময় স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়। এটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা। পিরিয়ডের সাথে লিঙ্গ ছোট হবার কোন সম্পর্ক নেই। ২) পিরিয়ডের সময় যৌন মিলনে কোন বাঁধা বা সমস্যা নেই। বা যৌন মিলন করা যাবে না এমন কোন নিয়ম নেই। স্বামী-স্ত্রী দুজনের সম্মতি ও ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই করা যাবে। ৩) অনেক নারীরই পিরিয়ডের সময় জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পিরিয়ডের সময় অল্প ব্যথা হবেই, কিন্তু ব্যথা যদি বেশী হয় কিংবা অল্প ব্যথাতেই নারী যদি অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে যৌন মিলন বাদ দেয়াই উত্তম। এতে নানান রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। ৪) পিরিয়ডের সময়ে ঘন ঘন মুড সুইং, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, অকারণে বিষণ্ণতায় ভোগা ইত্যাদি খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার যে কোন নারীর জন্য। ব্যাপারটি স্বামীরা ব্যক্তিগত ভাবে না নিলেই ভালো। মাসের এই কয়েকটি দিন একটু ছাড় দিন স্ত্রীকে। ৫) স্ত্রীর মুড সুইং-এর সাথে একটু সমঝোতা করুন। খিটখিটে মেজাজ ও বিষণ্ণতা দূর করতে তাঁকে সঙ্গ দিন, ভালবাসুন, দুজনে ভালো সময় কাটান। স্ত্রীর জন্য এটা খুবই জরুরী। ৬) একটা জিনিস মনে রাখবেন, পিরিয়ডের সময় ভারী কোন কাজ নারীদের জন্য না করাই উত্তম। যাদের ব্যথা হয়, তাঁদের জন্য তো বিষয়টি আরও জরুরী। এই বিষয়টির দিকে স্বামীরাও খেয়াল রাখুন। ৭) হ্যাঁ, পিরিয়ডের সময়টা যৌন মিলনের ক্ষেত্রে মোটামুটি নিরাপদ, এই সময়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেও চলে। তবে এটি শুধু মাত্র তাঁদের ক্ষেত্রেই ভালোভাবে প্রযোজ্য, যাদের পিরিয়ড হয় নিয়মিত। নিয়মিত পিরিয়ড হলে এই দিনগুলোতে জন্ম নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা ছাড়াই মিলিত হতে পারেন। তবে অনিয়মিত পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি না নেয়াই ভালো। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকেই যায়। ৮) গর্ভধারণের জন্য সেরা সময় হচ্ছে পিরিয়ডের ১০ দিন পর থেকে পরবর্তী ১০ দিন। অর্থাৎ আপনার ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাসিক চক্রের মাঝের ১০ দিন গর্ভধারণের জন্য ভালো সময়। যারা সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁরা এই সময়টিকে বিশেষভাবে মাথায় রাখুন। ৯) পিরিয়ড হতে ১০ দিন কিংবা এর বেশী দেরি হলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। দাম্পত্য জীবনে এর অর্থ হচ্ছে স্ত্রী গর্ভধারণ করে থাকতে পারেন। ১০) অনেক নারীরই পিরিয়ডের সময় অনেক বেশী রক্তপাত হয়। তাঁদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনটিকে বাদ দেয়াই ভালো।
*
মাসিক চলাকালীন সময়ে কি স্ত্রী সহবাস করা যায়?
* মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
* মিলনের সময় এবং পরবর্তীতে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে।
* রক্তপাত তুলনামূলক ভাবে বেশি হতে পারে।
* দেহ অপবিত্র লাগে বিধায় মানসিক অরুচি সৃষ্টি হতে পারে।
* পুরুষ লিঙ্গে রক্ত লেগে যৌনমিলনে তার অরুচি জন্মাতে পারে।
* পুরুষের কোন রোগ (Sexual transmited disease) থাকলে এসময় অতিদ্রুত নারী যোনিতে ছড়িয়ে পড়ে।
* তেমনি নারীদেহেও কোন রোগ (Sexual transmited disease) থাকলে পুরুষ দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে।
* জরায়ু মুখ ঘোরে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে মারাত্মক কুফল বয়ে আনতে পারে।
Post a Comment