গাছের কাঁটা আর কয়লা দিয়ে ট্রাইবাল নকশা তোলেন ১০২ বছরের এই 'ট্যাটু আর্টিস্ট'


Odd বাংলা ডেস্ক: ট্যাটু শিল্পটির সঙ্গে আজ সকলেই পরিচিত। একেবারে ছোট্ট একটি পাখি থেকে শুরু করে বিরাট আকারের ড্রাগন- এই সবকিছুই ফুটে ওঠে ট্যাটুর মাধ্যমে। ট্যাটুর মতো ট্যাটু আর্টিস্টদেরও চেহারায় থাকে একটা ফাঙ্কি লুক। কিন্তু জানেন কি এই পৃথিবীর বুকে রয়েছেন এমন এক ট্যাটু আর্টিস্ট, যাঁর বয়স ১০২ বছর। 

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি যে ফিলিপিন্সের একজন ট্যাটু আর্টিস্টের বয়স ১০২ বছর। তাঁর নাম হোয়াং-অড। জানা যায় বর্ষীয়ান এই ট্যাটু আর্টিস্টকে ফিলিপিন্স আর্মি এবং এয়ার ফোর্সের সহায়তায় আদিবাসী গ্রাম বাসকালান থেকে মানিলা ফেম ট্রেড শো-এ নিয়ে আসা হয়। বর্ষীয়ান এই ট্যাটু আর্টিস্টের কথায়, তিনিই হলেন ফিলিপিন্সের সবচেয়ে পুরনো ট্যাটু আর্টিস্ট। যাঁরা আগ্রহী, সপ্তাহন্তে তিনি নিজে হাতে ফিলিপিন্সের ঐতিহ্যবাহী ট্যাটু এঁকে দেন, যার মধ্যে ফুটে ওঠে ফিলিপিন্সের প্রাচীন কারুকাজ। 

প্রসঙ্গত বর্ষীয়ান ওয়াং-উড উত্তর কলিঙ্গ প্রদেশের পাহাড়-ঘেরা পার্বত্যমালার উপজাতির মানুষ। তাঁর শিল্পকলার মাধ্যমে তিনি এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেন, তাঁর প্রচেষ্টা আজও জারি। পোমেলো গাছের কাঁটা, বাঁশের লাঠি এবং কয়লা ব্যবহার করে গত ৮ দশক ধরে তাঁর উপজাতির যোদ্ধা এবং তাঁর গোত্রের মহিলাদের শরীরে ফুটিয়ে তুলেছেন একের পর এক ট্যাটু। 

তবে তাঁর কথা প্রচার হওয়ার পর থেকে তাঁর কাছে কিন্তু ভীড় জমান পর্যটকরাও। ট্যাটুর প্রতি অপার ভাললাগা থেকে এই বয়ঃবৃদ্ধ শিল্পীর হাতে গড়িয়ে নেন বিভিন্ন উপজাতি নকশার ট্যাটু। তবে কেবলমাত্র আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এমন এক প্রতিভাকে তাঁর উপজাতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে মানিলায় নিয়ে আসার বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে নেটিজেনরা। তাঁদের কথায় এ কাজ অমানবিক। ফিলিপিন্সের সুপ্ত প্রতিভাধর এই ট্যাটু আর্টিস্ট কিন্তু হাসি মুখেই সকলের চাহিদা পূরণ করে আসছেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.