ভারতের এই মন্দিরে প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় সোনার বিস্কুট!


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতবর্ষ হল এমন একটি দেশ যেখানে ধর্মকে স্থান দেওয়া হয়েছে সবার উপরে। আমাদের দেশের প্রায় সকলেই কম বেশি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আর সকলেই নিজ নিজ ধর্ম নিয়ে বেশ সচেতন। সকলেই ভগবানের কাছে নিজের মনের ইচ্ছা জানায়। আবার কেউ বলে মনের ইচ্ছা পূরণ হলে ভগবানের কাছে কিছু নিবেদন করবে।

কেউ মন্দিরে ফল দান করে, কেউ বস্ত্র দান করে, আবার কেউ সোনা গয়না দান করে। কেউ কেউ অনেক মূল্যবান রত্নও দান করে থাকে। মন্দিরে এরকম ঘটনা ঘটেই থাকে। তারপর মন্দিরে গেলে পুজো দেওয়ার সময় আমরা প্রসাদ হিসাবে মিষ্টি, ফল পাই।

কিন্তু ভারতের এক মন্দির আছে যেখানে ভগবানের প্রসাদ হিসাবে সোনা রূপা ইত্যাদি পাওয়া যায়। এটা সত্যিই অবাক করা ঘটনা। তার এই প্রসাদ পাওয়ার জন্য বহু মানুষ এসে ভিড় করে এই মন্দিরে। আপনারও হয়তো মনে হতে পারে যে একবার এই মন্দিরে ঘুরে আসলেই হয়।

আবার মনে এই প্রশ্নও জাগতে পারে যে এমন কি আছে ওই মন্দিরে যার জন্য সেখানে মূল্যবান সোনা প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয়। এই মন্দির অবস্থিত মধ্যপ্রদেশের রাতলাম নামক এক জায়গায়। এটি মহালক্ষ্মীর এক মন্দির। এই মন্দিরের মা লক্ষ্মীর প্রসাদ হল সোনা ও রূপার বিভিন্ন অলংকার।

বছরের প্রতিদিনই এখানে ভক্তদের ভিড় থাকে। দেশ বিদেশ থেকে এখানে ভক্তদের আগমন হয়। আর মায়ের চরনে ভক্তরা সোনা ও রূপার অলংকার নিবেদন করেন। বছরের বিশেষ কিছু দিনে এখানে প্রচুর পরিমাণে সোনার অলংকার জমা হয়। বিশেষ করে ধনতেরাসের দিন এই মন্দিরে প্রচুর অলংকার জমা পরে।

সব অলংকার মজুত করা হয়ে থাকে মন্দিরের ভান্ডারে। এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের মহালক্ষ্মী খুব জাগ্রত দেবী। তিনি তার সকল ভক্তের মনস্কামনা পূরণ করেন। আর সেই মজুত করা অলংকার বছরের বিশেষ কিছু দিনে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে বিতরন করা হয়।

সধারন মানুষেরা সেখানে পুজার অর্ঘ্য হিসাবে ফুল ফল নিয়ে আসে মায়ের কাছে পুজা দেওয়ার জন্য। তারা মায়ের কাছে পুজা দিয়ে ফেরার পথে প্রসাদ হিসাবে সোনা রূপার অলংকার নিয়ে বাড়ি ফেরে। এই প্রসাদ পাওয়ার জন্য অনেক ভক্তের ভিড় এখানে দেখা যায়। মায়ের এই প্রসাদ সকলে যত্ন করে রেখে দেয়। কেউ খরচ করেনা।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.