এলোমেলো হল সম্পর্কের সমীকরণ! পাশে রইলেন না স্ত্রী ও প্রেমিকাও, নিঃসঙ্গতায় ডুবে প্রভুদেব


Odd বাংলা ডেস্ক: তাঁর নাচের ছন্দে পা মেলাননি এমন অভিনেতা বর্তমানে বলিউডে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। তিনি প্রভুদেব। তাঁর নাচের জাদুতে রীতিমতো মুগ্ধ তাঁর সকল ফ্যানেরা। তবে শুধু কোরিওগ্রাফার হিসাবেই নয়, বলিউডে একজন সফল পরিচালক হিসাবেও নাম করেছেন প্রভুদেব। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সফল হলেও ব্যক্তিজীবনে বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে তাঁকে।

১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন রামলতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রভু। শোনা যায় শাস্ত্রীয় নৃত্য শেখার সময়ে রামলতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এরপর হয় প্রেম। রামলতা মুসলিম বলে প্রভুদেবকে বিয়ে করার জন্য হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই বিয়ের পরে নিজের নাম রামলতা থেকে লতা করে নেন তিনি| তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। ২০০৮ সালে প্রভুদেবের বড় ছেলে মারা যান ক্যান্সারে, গুঞ্জন শুরু হয়, এই সময় থেকেই নাকি স্ত্রীর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন প্রভু| 

আর এরপরই একটু একটু করে দক্ষিণী অভিনত্রী নয়নতারার প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেন প্রভুদেব। সাল ২০০৯, লোকচক্ষুর আড়াল থেকে প্রকাশ্যে আসে প্রভুদেব এবং নয়নতারার সম্পর্কের কথা। জানা যায় একটি তামিল ছবির শ্যুটিং চলাকালীন একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন প্রভু আর নয়নতারা। এমনকী তাঁরা বিয়ে করবে বলেও ঠিক করেন। কিন্তু তাঁকে ডিভোর্স দিতে কোনওভাবেই রাজি ছিলেন না লতা। উপরন্তু তিনি আদালতে মামলা করেন যে, নয়নতারার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন না প্রভু। অনেক জলঘোলা হওয়ার পর প্রভুদেবকে ডিভোর্স দিতে রাজি হন লতা বদলেদাবি করেন প্রভুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। ২০১১ সালে বিচ্ছেদ হয় যুগলের। 

অন্যদিকে নিজের প্রেমিকার ওপরেও জোর করে অনেক শর্ত চাপিয়ে দিয়েছিলেন প্রভু। প্রথমেই তিনি নয়নতারাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে নয়নকে অভিনয় জীবন ছাড়তে হবে। ফলে রুপোলি পর্দায় মুখ না দেখানোয় আর্থিকভাব প্রভুদেবের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন নয়নতারা। কিন্তু বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্থ নয়নতারা এতটাই খরচ করে ফেলতেন যে প্রভুদেবাকে কার্যত ঋণগ্রস্থ হতে হয়। প্রভুদেবের কোনও কথাই কার্যত কানে তুলতেন না নয়নতারা। ইতিমধ্যে প্রেমিকার সঙ্গে মুম্বইতে থাকতে শুরু করলেও ছেলেদের সঙ্গে চেন্নাই তে দেখা করতে যেতেন তিনি, কিন্তু তাঁর এই যাওয়াও সহজভাবে নিতে পারতেন না নয়নতারা। ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চাপও দিতেন নয়ন, যা মেনে নেওয়া প্রভুদেবের পক্ষে সম্ভব ছিল না। শুধু তাই নয় নয়নতারা তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করলে তাও কার্যত এড়িয়ে যেতেন প্রভু-এমনটাই শোনা যায়। এইভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে তিক্ত হয়ে যায় ভালবাসার সম্পর্ক। অবশেষে ২০১২ সালে দুজনেই জনসমক্ষে তাঁদের সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। এইভাবে জীবনে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে না-স্ত্রী, না-প্রেমিকা- কারওরই আপন হয়ে ওঠা হল না প্রভুদেবার।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.