অফিসের বস নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে বাধ্য করতেন, আত্মহত্যা যুবকের


Odd বাংলা ডেস্ক: পাঁচ মাস আগে যখন তরুণের মৃত্যু হয় তখন আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও তথ্যই তেমন পাওয়া যায়নি। তবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নিখিল পারমারের অফিসের এক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে। ১৯ বছরের নিখিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে আহমেদাবাদের একটি ডেকোরেটরের কাছে কাজে যোগ দেয়। দশ মাস কাজ করার পর নিখিল তার বাড়িতে জানায় এই চাকরি তার পক্ষে আর বেশিদিন করা সম্ভব নয়।

অফিসের বস ও তাঁর স্ত্রী যৌথ ভাবে নিখিলের উপর মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে। তখন তার বাবা বলেছিল চাকরি ছেড়ে দিতে। সেই মতো নিখিল চাকরি ছেড়ে দেয়। কিন্তু তখন তার বেশ কয়েক মাসের মাইনে আটকে দেয়। জুলাই মাসের ১৫ তারিখ তাকে অফিসে ডেকে পাঠায় পাওনা নেবার জন্য। এরপরই ২০ জুলাই নিখিলের বাড়িতে ফোন করে বলা হয় সে আত্মহত্যা করেছে। ১৫ তারিখ টাকা নিতে এসে নিখিল তার বাবাকে জানায়, বস তাকে জোর করে একটি কাজে রাজস্থান পাঠাচ্ছে।

ঘটনার পর কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। হঠাৎ করেই নিখিলের ফোন ঘাঁটতে গিয়ে কিছু কথোপকথন চোখে পড়ে তার ভাই-বোনের। সেখানে থেকেই তারা উদ্ধার করে, ১৯ বছরের তরুণকে জোর করে নিজের ২৫ বছরের স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেন বস। এরপর তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। যুবক এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে তরুণী বাধা দেন। আর তরুণীর স্বামী যুবকের বেশ কয়েক মাসের মাইনে আটকে দেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.