অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা? খাদ্যতালিকায় থাক এই ৬ খাবার


Odd বাংলা ডেস্ক: অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন আজকের অধিকাংশ মহিলাই। অত্যাধিক স্ট্রেস, শারীরিক পরিশ্রম, অনিয়মিত জীবনযাত্রার প্রভাব পড়তে পারে আপনার ঋতুচক্রের ওপর। আর সেইকারণেই পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে থাকে। তবে এর জন্য হরমোনের চিকিৎসা করে থাকেন তবে তার বেশকিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। তাই এক ঝলকে দেখে নিন এমন কিছু খাবার ও তার গুণাগুণের কথা, যা খাদ্য তালিকায় থাকলে অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

১) কাঁচা পেপে- কাঁচা পেপে পিরিয়ড হতে খুবই সাহায্য করে। এটি জরায়ুর মাসল ফাইবার কন্ট্রাকশন-এ সাহায্য করে। পর পর কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেপের রস খান, পিরিয়ড নিয়মিত হবে, তবে পিরিয়ড চলাকালীন কিন্তু এটি খাবেন না। 

২) অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরার শাঁস হরমোন রেগুলেশন-এ বিশেষভাবে সাহায্য করে। ভাল ফল পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাজা অ্যালোভেরা শাঁস সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটা খাবেন না। 

৩) আদা- আদা পিরিয়ড সাইকেল রেগুলেশন-এ সাহায্য করে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করে। এর জন্য ১ কাপ জলে ১-চা চামচ পরিমাণ আদা কুঁচি নিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে চিনি বা মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর এই পানীয়টি তিন বেলা করে খান ভরা পেটে। কয়েক মাসের মধ্যেই সুফল পাবেন। 

৪) জিরে- পিরিয়ড নিয়মিত করতে জিরে খুবই কার্যকরী। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক গ্লাস জলে ২-চা চামচ জিরে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জিরে সমেত এই জল খেয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

৫) দারুচিনি- অনিয়মিত পিরিয়ড-এর সমস্যা দূর করতে চা বা লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়ো করে তাতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি পিরিয়ড নিয়মিত করার পাশাপাশি পিরিয়ডকালীন ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।

৬) ফল ও সবজির রস- অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফল ও সবজির জুস রাখুন। এগুলি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এবং হরমোন রেগুলেশন-এ সাহায্য করে। যেমন গাজর, পুদিনা, করলার রস, এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলের রস খান। তবে পিরিয়ড নিয়মিত করতে গাজর এবং আঙুরের খুবই কার্যকরী।

৭) যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন- মাসিক নিয়মিত না হওয়ার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। শরীরে যে সমস্ত হরমোন পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রেস-এর কারণে সেগুলির ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার ফলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়। যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। 

তবে এর পরেও যদি উপকার না পান তাহলে অতি অবশ্যই একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.