কেউ পরেন ঐতিহ্যবাহী গাউন, কেউ পরেন রঙিন জাঙিয়া! বিশ্বজুড়ে বর্ষবরণের পোশাকবিধি জানলে অবাক হবেন
Odd বাংলা ডেস্ক: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নিশ্চয় শুরু করে দিয়েছেন প্রস্তুতি-পর্ব? কেমন হতে চলেছে বর্ষবরণের রাত, কীভাবে সাজগোজ করবেন, কোন পোশাকটা পরবেন, ভিড়ের মধ্যে নিজেকে নজরকাড়া করে তুলতে নিজের লুকে কী পরিবর্তন আনবেন ইত্যাদি সবকিছুই নিশ্চয় ভেবে ফেলা হয়েছে। কিন্তু জানেন কি এই বর্ষবরণের রাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পোশাক নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু ঐতিহ্য রয়েছে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন দেশ যেসব পোশাক নির্বাচন করেন তার কারণ কিন্তু যথেষ্ট অর্থবহ। এক ঝলকে দেখে নিন কোন দেশে কী ধরণের পোশাক পরার চল আছে।
১) ভিয়েতনাম- বছরের প্রথম দিন কিন্তু ভিয়েতনামবাসী একেবারে ব্র্যান্ড নিউ পোশাক-পরিচ্ছদ পরে থাকেন। তবে দৈনন্দিন জীবনে তাঁরা যেসব পশ্চিমী পোশাক পরেন, বর্ষবরণের দিনে কেউ কিন্তু সেই পোশাক পরেন না। বরং ভিয়েতনামের সাবেকি পোশাক 'আও ডাই' পরেন সকলে। এটি সাধারণত একটি লং গাউন, যা ট্রাউজারের সঙ্গে পরতে হয়।
২) ইতালি- ভিয়েতনামের মতো ইতালির মানুষজনও নববর্ষের বিশেষ দিনে নতুন পোশাক পরে থাকেন। পাশাপাশি নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ বিশেষ উপহারও আদান- প্রদানের রীতি আছে। মধু, সোনার জিনিস, নগদ টাকা, ল্যাম্প- প্রভৃতি জিনিস উপহার দেওয়া হয়ে থাকে। এইসব উপহার শুভ বলে মনে করা হয়।
৩) তুরস্ক- তুরস্কে নতুন বছরের প্রাক্কালে মাঝরাতে লাল রঙের অন্তর্বাস পরার একটা প্রথা রয়েছে। মনে কর হয় লাল রঙের অন্তর্বাস পরলে নতুন বছর সৌভাগ্য বয়ে আনবে। এই ঐতিহ্য ইতালি, স্পেন, মেক্সিকোর মতো দেশেও পালন করা হয়। আর প্রথাগত ভাবে এক্ষেত্রে লাল রঙকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।
৪) ব্রাজিল- ব্রাজিলে আবার সৌভাগ্য বয়ে আনতে রঙিন জাঙিয়া পরার একটা চল আছে। ব্রাজিলের পাশাপাশি ইক্যুয়েডর, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলায় এই একই ঐতিহ্য বর্তমান। বলা হয় লাল রঙের জাঙিয়া পরলে তা ভালবাসা বয়ে আনে, হলুদ জাঙিয়া নিয়ে আসে অর্থভাগ্য, সবুজ রঙ সৌভাগ্য বহন করে। স্থানীয় দোকানগুলিতে এইসব রঙিন জাঙিয়ার বিপুল সম্ভার পাওয়া যায়।
৫) ফিলিপিন্স- ফিলিপিন্সে নববর্ষের দিন গোলাকার যা-কিছু তা-ই খুব শুভ বলে মনে করা হয়, সেইকারণে এই দিনে 'পোলকা ডট' দেওয়া জামা পরেন সেখানকার মানুষরা। এমনকী তাঁরা পকেটে পয়সা নিয়েও ঘোরাফেরা করেন। গোলাকৃতি জিনিস সৌভাগ্য বহন করে- এমনই ধারণা ফিলিপিন্সের মানুষে।
Post a Comment