বেতের বাড়ি মেরে গলায় ছুরির কোপ, তারপর জীবন্ত জ্বালানো হয়- মৃত্যুর আগে উন্নাও নির্যাতিতার রোমহর্ষক বয়ান!


Odd বাংলা ডেস্ক: বহু চেষ্টার পরও নিজের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইতি টেনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। এদিন রায়বরেলির আদালতে ধর্ষণের মামলার শুনানির জন্য যেতে গিয়েই পথেই তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত ২ ধর্ষক-সহ আরও পাঁচ দুষ্কৃতি।

অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই রাস্তা দিয়ে ছুটতে ছুটতে আর্তনাদ করতে থাকে ওই তরুণী এরপর নিজেই ফোন করে পুলিশকে। এরপর তাঁকে দিল্লির সফদরজঙ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর রাত ১১.১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ১১.৪০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

শরীর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়ে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই তরুণী পুলিশের কাছে যে বয়ান দিয়েছে, তা শুনলে রীতিমতো গা শিউড়ে উঠবে। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছে, রায়বরেলির আদালতে যাওয়ার সময় রেল স্টেশনের কাছে তাকে ঘিরে ধরে পাঁচজন। প্রথমে তাঁকে বেত দিয়ে এলোপাথারি মারা হয়, তারপর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, এরপর আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর একেবারে হায়দরাবাদের কায়দায় তরুণীর গায়ে পেট্রল তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্ষণে অন্যতম অভিযুক্তের কাকা দিনের পর দিন নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল যে, তার ভাইপোকে গ্রেফতার করানোর প্রতিশোধে নির্যাতিতার পরিবারের বাড়ি-দোকান সবকিছু জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন- বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের অনাস্থা? হায়দরাবাদের মতো উন্নাও নির্যাতিতার অপরাধীদের এনকাউন্টার চায় নেটিজেনরা

আরও জানা যায় ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শুভমের সঙ্গে একটা সময় প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। এফআইআরে ধর্ষিতা জানিয়েছিলেন, প্রথমে তাঁর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে শুভম। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার ভিডিও তুলেও রাখে। এরপর ওই তরুণী সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয় যে, ওই ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.