বাজার চলতি ফেসওয়াশের বদলে ব্যবহার করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই উপাদান


Odd বাংলা ডেস্ক: এখন শীতকাল, তাই ত্বকের জন্য এই সময় একেবারেই ভাল নেই। সঠিকভাবে যত্ন করতে না পারলে ত্বক খসখসে এবং ফেটে যেতে শুরু করে। এমনকি মুখ পরিষ্কার করার জন্য সবসময় হাতের কাছে ফেসওয়াশ না পাওয়া গেলে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করে নেওয়া যায় খুবই সহজ উপায়। এতেও ত্বক মসৃণ এবং কোমল থাকবে শুধু এর পাশাপাশি বাড়াতে হবে জল খাওয়ার পরিমাণ। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ফেসওয়াশ তৈরি করবেন –

১। দুধ: ত্বকের প্রকৃতি যেমনই হোক না কেন, দুধ ক্লিনজার হিসেবে চমৎকার কাজ করে। চাইলে দুধের সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিরাতে ব্যবহার করতে পারেন। ঠান্ডা দুধে তুলার প্যাড বা নরম কাপড় ডুবিয়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।

২। নারিকেল তেল: মুখ পরিষ্কার করার জন্য ভালো মানের একস্ট্রা ভার্জিন নারকেল তেল মুখে-গলায় ভালো করে মালিশ করে নিন। চক্রাকারে আলতো করে আঙুল চালাবেন, মিনিট দু’য়েক মালিশ করলেই হবে। এরপর এক টুকরো ভেজা তুলো বা নরম কাপড়ে আলতো করে মুখটা মুছে বাড়তি তেল তুলে জলের ঝাপটা দিয়ে মুখ-গলা পরিষ্কার করে নিন। এরপর ঠান্ডা গোলাপজল দিয়ে টোন করে মুখে লাগিয়ে নিন পছন্দের ময়েশ্চারাইজার। তবে যাদের ত্বকে ব্রণ বেশি হয় ও নারিকেল তেল ব্যবহার করলে অসুবিধা হয়, তারা এই পদ্ধতি এড়িয়ে যেতে পারেন।

৩। দই আর শসার মিশ্রণ: শসা কুচি করে নিন এর মধ্যে মিশিয়ে নিন পরিমাণমতো দই ও তৈরি করুন থকথকে একটি মিশ্রণ। এরপর তা লাগিয়ে নিন মুখে ও গলায়। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই প্যাক বয়সের ছাপ ও পিগমেন্টেশনও দূর করে দিতে পারে। একদিন পরপর ব্যবহার করুন।

৪। ওটমিল, দই, মধু: ওটমিল, দই আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে থকথকে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর সেটি মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে লাগিয়ে নিন টোনার ও ময়েশ্চারাইজার।

৫। দই, মধু আর লেবুর রস: দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ দূর করে, মধু কাজ করে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে। যাদের ত্বক স্পর্শকাতর, তারা এই দু’টি উপাদান ত্বকে সহ্য হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই ব্যবহার করুন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.