পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে না বিমান, কেন জানেন...


Odd বাংলা ডেস্ক: উড়িষ্যার পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দির, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির। এটি বিশ্বের এমন একটি মন্দির যার নির্মাণ কলা আজও বৈজ্ঞানিকদের অবাক করে। এবার কথা বলব এই মন্দিরটির সাথে জুড়ে থাকা সেই সব আশ্চর্য ঘটনার ব্যাপারে, যার ব্যাখ্যা আজও বৈজ্ঞানিকরা দিতে পারিনি। এই মন্দিরের চূড়ায় লাগানো এই ঝান্ডাটি সবসময় বাতাসের বিপরীতে ওড়ে, কিন্তু এটার রহস্য বৈজ্ঞানিকরা আজও উদ্ধার করতে পারেনি। সাধারণত বেশির ভাগ মন্দিরের চূড়াতেই আমরা পাখিদের বসে থাকতে দেখতে পাই, কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন পুরীর এই মন্দিরের চূড়ায় বা এর আশেপাশে কোন পাখিকে উড়তে দেখা যায় না। প্রায় বিগত হাজার বছর ধরে আজ পর্যন্ত কেউই এই মন্দিরের চূড়ায় কোন পাখিকে বসতে দেখেনি। কারণ এখনো অধরা।

এই মন্দিরে উপর দিয়ে কোন বিমান আজ পর্যন্ত যেতে পারিনি। বিমান এই অঞ্চলের উপর দিয়ে অবশ্যই যায়, কিন্তু কখনোই সেটি এই মন্দিরের উপর দিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু এমনটি কেন ঘটে, এর ব্যাখ্যা আজও কেউ দিতে পারেনি। আজও কেউ জানে না, কেন এই মন্দিরের উপর দিয়ে যাওয়া বিমানের রাস্তা, নিজে থেকে পরিবর্তন হয়ে যায়। এই মন্দিরটি প্রায় ৪ লক্ষ বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত, আর এর উচ্চতা ২১৪ ফুট। এই মন্দিরের কাছে দাঁড়িয়ে এর চূড়া দেখতে পাওয়া কখনই সম্ভব নয়, আর এই মন্দিরের ছায়া দিনের কোন সময়ই, কোন দিকেই পড়তে দেখা যায় না।

সাধারণত দিনের বেলায়, বাতাস সমুদ্রের দিক থেকে সমতলের দিকে প্রবাহিত হয় এবং সন্ধ্যেবেলায় ডাঙ্গার দিক থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু জগন্নাথ পুরীতে ঠিক এর উল্টোটা ঘটে। সারা বিশ্বে আর কোথাও আপনি এই অদ্ভুত দৃশ্যটি দেখতে পাবেন না। এর পেছনে কি কারণ লুকিয়ে রয়েছে তার জবাব আজকের বিজ্ঞানও দিতে পারেনি। হাজার বছর ধরে চলে আসা এই প্রথায়, কেউ কখনো দেখেনি যে এই রথ যাত্রার অনুষ্ঠানের দিন বৃষ্টি হয়নি। কারণ প্রতিবছর রথ যাত্রার দিন বৃষ্টি নামবে। এই সমস্ত ঘটনাগুলিকে কোন চমৎকার বলা হোক বা অন্য কিছু, কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরের এই চমৎকার আজও সমস্ত মানুষের কাছে একটি রহস্য।

আরও পড়ুন- জগন্নাথ দেবের অলৌকিক রান্নাঘরের ছাপ্পান্ন ভোগ, ১০,০০০ মানুষের প্রসাদ রান্না হয়
Blogger দ্বারা পরিচালিত.