মাথার সিঁদুরে স্টাইল নয়, ভুল ভাবে পরলে বিপদ নিশ্চিত
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু মহিলারা স্বামীর জন্য সিঁথিতে সিঁদুর পরে আসছেন। সনাতন ধর্মে সিঁদুর বিবাহিত মহিলার প্রতিক যা তারা স্বামীর মঙ্গল কামনায় পরে থাকেন। সিঁদুরের লাল রং শক্তি ও ভালোবাসাকে বহন করে বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই সিঁদুর পরারও বিশেষ কিছু নিয়ম কানন রয়েছে। ভুল নিয়মে সিঁদুর পরলে তা স্বামীর দুর্ভাগ্যকে ডেকে আনতে পারে।
হিন্দু ধর্মে এটা মনে করা হয় স্ত্রী তার সিঁদুরের শক্তি দিয়ে স্বামীকে যেকোনো বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারেন। তাই হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের সিঁদুর পরার রীতি।
প্রচলিত মান্যতা অনুযায়ী মহিলারা যদি সিঁথির ঠিক মাঝামাঝিতে সিঁদুর লাগান তাহলে তার স্বামীর কখনও অকাল মৃত্যু হয় না। এতে তার স্বামী দীর্ঘজীবন লাভ করেন।
অনেক মহিলারা মাথায় নাম মাত্র সিঁদুর লাগান। এমন করলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সংসারে অশান্তি নেমে আসে।
কিছু মহিলারা আধুনিকতা দেখানোর জন্য সিঁদুরকে চুল দিয়ে ঢেকে রাখেন। এমন স্ত্রীর স্বামীরাও সমাজে হারিয়ে যায়। অর্থাৎ সমাজে এদের কোন নাম ডাক থাকে না। তাদের পরিবার ও স্বামীর সমাজে কোন সন্মান থাকে না।
কিছু কিছু মহিলারা ভিজে সিঁদুর মাথায় দিয়ে থাকেন। যে স্ত্রীরা ভিজে সিঁদুর মাথায় দেন তাদের স্বামীরাও ভিজে সিঁদুরের মতন চুপসে যায়। তাই ভুল করেও মাথায় ভিজে সিঁদুর পরবেন না।
যে স্ত্রী তার মাথার সাইডে সিঁদুর পরেন, তার স্বামী তার থেকে দুরে চলে যায়। তাদের মধ্যে সর্বদা মতবিরোধ লেগে থাকে। ফলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না।
অনেক মহিলারা সিঁদুরের পরিবর্তে অন্য লাল রঙের কস্মেটিক্স ব্যবহার করে থাকেন। যা দেখতে সিঁদুরের মতন হলেও তা বাস্তবে সিঁদুর নয়। এতে স্বামীর অমঙ্গল নিশ্চিত।
এছাড়াও সিঁদুর পরার কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। বৈজ্ঞানিকদের মতে সিঁদুর মস্তিষ্ক বা মাথার নার্ভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহিলারা যেখানে সিঁদুর পরেন, মাথার সেই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ থাকে। ফলে সেখানে থাকা সিঁদুর মেডিটেশনে সাহায্য করে। এমনকি ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে সিঁদুর।
Post a Comment