বিদ্যুৎ ছা়ড়াই ৮০টা বছর! প্রকৃতিকে ভালবেসে লন্ঠনের আলোয় দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধা


Odd বাংলা ডেস্ক: আমরা বর্তমানে যে জীবন যাত্রায় পদার্পণ করেছি সেখানে ইন্টারনেট ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও ভাবতে পারিনা। বিগত কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যখন মোবাইল ফোন বা কালার টিভি আসেনি তখন বিদ্যুৎ ছাড়া থাকার কথা ভাবতে কষ্ট হত। স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জিবন এক্কেবারে অচল। এটা ভাবতেও কেমন যেন লাগে যে বিদ্যুৎ আমাদের চালনা করছে। বিদ্যুৎই নির্ধারণ করছে আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম, আরাম বিলাস-ব্যসন সব কিছুই বিদ্যুতের অধিনে। বিদ্যুৎ না থাকলে ঘোরে না ফ্যান, টিভি, লাইট এমন কি রান্নাও সম্ভব নয়। কারন এখন অনেকে ইন্ডাক্সন অভেনে রান্না করেন।


আবার সমস্ত অফিস কাছারি বন্ধ হয়ে যাবে বিদ্যুতের অভাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ হয় এখন কম্পিউটারে, তাই বিদ্যুৎ না থাকলে কম্পিউটার চলবে না। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা যে জীবন কল্পনাও করতে পারিনা সেই বিদ্যুৎ ছাড়াই দিব্যি চলছে এই ভদ্র মহিলার জীবন। কেউ তাকে বোকা বলেন, কেউ কেউ তো আবার পাগলের তকমাও দিয়েছেন এই মহিলাকে। কিন্তু তিনি তার সাধের বাড়িতে তার একটি কুকুর, দুটি বেড়াল ও অনেক পাখিদের নিয়ে ভালোই আছেন। একা নিজের মত করে বাঁচতেই তার ভালো লাগে।

তার মতে আর যেই যাই বলুক না কেন, এই বন্ধুরা তাকে কোন দিনও ছেড়ে যাবে না। অন্য মানুষদের মত এরা ওনার দিকে আঙ্গুল তুলবে না। সেই ভদ্র মহিলার নাম হেমা সানে। পুনের বুধওয়ার পেট এলাকায় কোন রকম বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াই থাকেন এই মহিলা। সন্ধ্যে বেলা সারা বাড়িতে মাত্র একটি ল্যাম্প টিম টিম করে জ্বলে। আমাদের দেখা আর পাঁচজন মানুষদের থেকে আলাদা। সবার থেকে আলাদা হয়ে এক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন তিনি। নিজের জীবন থেকে তিনি বিদায় দিয়েছেন বিদ্যুৎ ব্যাবহারকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিদ্যুৎ ছাড়াই চলছে তার জীবন। বিদ্যুৎ কেন ব্যাবহার করেন না জিজ্ঞেস করায় তিনি জবাব দেন ‘এই তো ভালো আছি’। হেমা নিজেও বটানিতে পিএইচডি। তার দিন শুরু হয় বাড়ির আসেপাসে গাছগাছালিতে অজস্র পাখির ডাক শুনে। কিন্তু তা বলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিয়েও কিছু বলতে চান না হেমা। দিতে চান না কোন জ্ঞানের বাণী।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.