জেনে নিন যৌনতা কেন্দ্রিক ভ্রমণে সেরা ১৫টি দেশ


Odd বাংলা ডেস্ক: ভ্রমণ, তবে তা যৌনতা কেন্দ্রিক। পৃথিবীর সেক্স ট‌্যুরিজম-এর মানচিত্রে নিত্য নতুন যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। জনপ্রিয়তার নিরিখে তালিকার প্রথম দিকে থাকা কয়েকটি ঠিকানা সম্পর্কে জেনে নিন।

১) কিউবা:
নিসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য দ্বীপরাষ্ট্রে প্রতি বছর পাড়ি জমান অজস্র পর্যটক। তবে এদের এক বড় অংশ আসেন যৌনতার আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্ত বয়স্ক নয়, মনপসন্দ নাবালক যৌনসঙ্গী সুলভে মেলে এই দেশে।

২)রাশিয়া:
গত এক দশকে রাশিয়ায় দেহ ব্যবসার রমরমা শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যটকরাই এখানে যৌনতার টানে ছুটে আসেন। রুশ যৌন বাজারে আবার দালালদের দাপট বেশি।

৩)আর্জেটিনা:
১৮৮৭ সাল থেকে এ দেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে ব্রাজিলে সহকামী দেহ ব্যবসায়ীদের চাহিদা তুঙ্গে। সরকারের তরফেও বিশ্বের সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যৌন পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে ম্যারাডোনার দেশ।

৪) বালগেরিয়া:
যৌন পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহ ব্যবসায়ী ভীড় জমান। তাদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশি দেশ থেকেও।

৫) দক্ষিণ কোরিয়া:
এদেশে যৌনতা নিয়ে শুচিবায়ু নেই। ক্ষণিকের শয্যাসঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয়না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে রয়েছে একাধিক এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘন্টার জন্য ভাড়াও মেলে সহজে।

৬) কলম্বিয়া:
অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা বলে যৌন পর্যটনস্থল হিসেবে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশটি। দরিদ্র দেশে এসে নামমাত্র খরচে দেদার ফূর্তি লুটতে প্রতি বছর পাড়ি জমান ইউরোপ ও আমেরিকার পর্যটকরা।

৭)ক্যাম্বেডিয়া:
দুনিয়ার অন্যতম বড় যৌন ব্যবসা চালায় এই দেশ। কিন্তু তার বেশির ভাগটাই অবৈধ। তবে আইনের ফাঁক গলে অবাধ যৌনতার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতি বছর ছুটে আসেন বিশ্বের কামতাড়িত মানুুষ।

৮) প্রাহা:
সেই ১৯৮৯ সাল থেকে ইউরোপের যৌনতার রাজধানী তকমা পেয়েছে এই শহর। অসংখ্য জেন্টলম্যানস ক্লাব অথবা রিল‌্যাক্সেশন ক্লাবে অল্প খরচে শরীরী বিনোদনের সম্ভার মেলে। হিংসাত্বক ঘটনার সংখ্যাও এখানে কম নয়।

৯) নেপাল:
রাজধানী কাঠমুন্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহ ব্যবসার রমরমা। বাণিজ্য জমে ওঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার আস্তানাময় যৌন ব্যবসায়ীর বসত ভিটেতেও। কাঠমুন্ডুর থামেলে ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসেজ পার্লার। যেখানে অবৈধ দেহ ব্যবসার পসার সাজানো। এছাড়া বিভিন্ন রেস্তেরাঁর কেবিন ও ডান্সবার গুলোতেও মিলবে অফুরন্ত দেহজ বিনোদনের সম্ভার।

১০) থাইল্যান্ড:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যৌনতার নতুন ঠিকানা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড। ব্যাঙ্ককের বিখ্যাত ‘পিং পিং’ শো-ই হোক অথবা বিভিন্ন স্পা-এর ছদ্মবেশে যৌনতার ঠেক, দেশজুড়ে অবাধ ও নিরাপদ দেহ ব্যবসার রমরমা বছরভর এখানে বিশ্বের নানা দেশের স্ত্রী পুরুষকে আকৃষ্ট করছে।

১১) জামাইকা:
শুধুমাত্র দেশের দেহ ব্যাবসায়ীরাই নন, ভ্রমণরত বহু মহিলাও এদেশে শরীর বিকোতে দ্বিধাবোধ করেন না।

১২) কেনিয়া:
আফ্রিকার এই দেশে যৌন ব্যবসার নানা রুপ। স্ট্রিপ ডান্স বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পা-তে সুলভ মূল্যে দৈহিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এমনকি ছুটি কাটাতে এসে টানা কয়েক দিনের জন্যও সঙ্গী মেলে কেনিয়ায়।

১৩) ম্যাকাউ:
চীনের যৌন ব্যবসা বৃদ্ধির পেছনে নানা কারণ রয়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে যৌন তৃপ্তির খোঁজে ভীড় জমান। সস্তায় নারী দেহ ভোগের এমন সুযোগ খুব কমই মেলে।

১৪) লাটভিয়া:
পূর্ব ইউরোপের এই দেশে যৌনতার আধিক্য বছরভর পর্যটক সমাগমের অন্যতম কারণ। এছাড়া এদেশে মদের দামও বেশ সস্তা। ছুটিতে অঢেল ফূর্তি করতে এই কারণেই লাটভিয়াটে ইদানীং পাখির চোখ করেছে ইউরোপ।

১৫) ভেনেজুয়েলা:
মার্গারিটা দ্বীপের অসংখ্য রিসোর্টে যৌনতার অবাধ আয়োজন। এদেশে যৌন ব্যবসা বৈধ। পর্যটন-ক্লান্ত পুরুষদের অভ্যর্থনা জানাতে হোটেলের লবিতে নগ্ন সুন্দরীদের সারিবদ্ধ উপস্থিতি রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চব্বিশ ঘন্টা হিসেবে এখানে যৌন ব্যবসায়ীদের ভাড়া করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কামতাড়িতা মধ্যবয়সীনিদের জন্য তরতাজা তরুণও এখানে সহজলভ্য।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.