দীলিপ কুমার থেকে অস্কারজয়ী এ.আর.রহমান হয়ে ওঠার লড়াই- জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁকে


Odd বাংলা ডেস্ক: ৬ জানুয়ারি এ.আর.রহমানের জন্মদিন। সঙ্গীত দুনিয়া তাঁর সুরের জাদুতে মাতোয়ারা বিশ্ব। আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে রইল এমন কিছু তথ্য, যা হয়তো অনেকেরই অজানা। 

১) এ. আর. রহমান জন্মেছিলেন এক হিন্দু পরিবারে। সেই সময়ে তাঁর নাম ছিল দিলিপ কুমার। এরপর তাঁর অসুস্থ ছোট বোনকে সুস্থ করে তোলেন এক সুফি সাধক করিমুল্লাহ শাহ কাদরি। আর এরপরেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয়ে ওঠেন আল্লা রাখা রহমান।

২) রহমান নিজের জীবনে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গীতজগতে নাম করার পর তিনি নিজেই বলেছিলেন, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার জগতের ক্ষতিই হল সঙ্গীত জগতের লাভ। 

৩) রহমান নিজের স্কুলের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। কম উপস্থিতির কারণে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তাঁকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর সুরের মুর্ছনাতেই মন্ত্রমুগ্ধ গোটা বিশ্ব। 

৪) তাঁর জীবনের প্রথম মাইমে ছিল মাত্র ৫০ টাকা। রেকর্ড প্লেয়ার অপারেটিং-এর কাজের জন্য এই অর্থ উপার্জন করেছিলেন রহমান। 

৫) সবথেকে মজার তথ্য হল এ. আর. রহমানের জন্মদিন ৬ জানুয়ারিতেই তাঁর ছেলে আমীনেরও জন্মদিন। 

৬) ২০১৩ সালে কানাডার অন্টারিও-তে মার্খাম-এর একটি রাস্তা এ. আর. রহমানের নামে নামকরণ করা হয়।  

৭) এ. আর. রহমান যে গানের জন্য অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেই 'জয় হো' গানটি প্রথমে সলমন খান অভিনীত 'যুবরাজ' ছবির জন্য তৈরি করা হয়েছিল। 

৮) নিজের কিশোর বয়সে রহমান যে কি-বোর্ডটি বাজাতেন সেটি বর্তমানে তাঁর চেন্নাইয়ের স্টুডিওতে রাখা রয়েছে। 

৯) এ. আর. রহমানই হলেন প্রথম এশিয় যিনি একই বছরে দুটি অস্কার পুরস্কার জিতেছিলেন। 

১০) রহমানের যেসব সুরের জাদুতে মাতোয়ারা গোটা বিশ্ব সেই সুর তিনিন তোলেন রাতের অন্ধকারে। কারণ তাঁর কাছে সেটাই একমাত্র সময়, যখন তাঁকে কেউ বিরক্ত করতে পারবে না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.