ধর্মীয় সংস্কৃতিতে আঘাতের ভয়, তাই শরীর ঢেকেই বডিবিল্ডিং প্রতিযোগীতায় নামলেন বাংলাদেশি মেয়েরা


Odd বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে আয়োজিত হল প্রথম মহিলাদের বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়ানশিপ। এই প্রতিযোগীতায় জয়লাভ করেন ১৯ বছরের এক কিশোরী। কিন্তু সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল এই প্রতিযোগীতায় অংসগ্রহণকারীদের সকলেরই শরীরের পেশী ছিল সম্পূর্ণ আবৃত। এমনকি প্রতিযোগীতায় যিনি প্রথম হয়েছেন, তাঁরও শরীরের অধিকাংশ পেশীই ছিল ঢাকা। 

শোনা যাচ্ছে, মুসলিম-প্রধান দেষে যাতে, কোনওরকম বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, সেইজন্য শরীর ঢেকে রেখেছিলেন প্রতিযোগীরা। যদিও ইন্টারন্যাশনাল বডি বিল্ডিং প্রতিযোগীতায় বিকিনি পরেই শরীর প্রদর্শনের নিয়ম রয়েছে. কিন্তু বিজয়ী প্রতিযোগী অহনা রহমান এবং তাঁর ২৯জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রায় ১০০জন দর্শকের সামনে শরীর আবৃত করেই প্রতিযোগীতয় নামেন। তাঁদের পরনে ছিল টাইট লেগিংস এবং আঁটোসাঁটো জামা। 

রাজধানী ঢাকায় তিন দিন ধরে চলেছিল এই প্রতিযোগীতা। বিজয়ী অহনা রহমান সংবাদ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন, প্রতিযোগীতায় জিততে পেরে তিনি খুবই খুশি। তিনি আরও বলেন যে, শরীর প্রদর্শনের জন্য তাঁকে কেউ সমালোচনা করতে পারেন, এমনটা তিনি কখনও ভাবেননি। তাঁদের জানানো হয়েছিল যে, প্রতিযোগীতায় বিশেষ পোশাকবিধি থাকবে, এবং তাঁরা যে পোশাকটি পরেছেন, তা বাংলাদেশিদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে একেবারে সঠিক ছিল বলেই মনে করছেন অহনা। 

বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশানের জেনারেল সেক্রেটারি জানিয়েছেন, 'আমাদের ধর্মীয় এবং সামাজিক সংষ্কৃতির কারণে আমরা পোশাকবিধি সম্পর্কে খুব সাবধান ছিলাম। তাই আমরা মেয়েদের জন্য ফুলহাতা টপ এবং লেগিংস নির্বাচন করেছি'। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.