শিশুর মুখে সিগারেট তুলে দেয় বাবা-মা, আজব এই গ্রাম


Odd বাংলা ডেস্ক: ছোট্ট একটা বাচ্চা কীভাবে সিগারেট ফুঁকছে, দেখে নিশ্চয়ই অবাক লাগছে? জানলে আরো অবাক হবেন, এসব শিশুর হাতে সিগারেট তুলে দেন তারই মা-বাবা। শিশুদের চকোলেট না দিয়ে সিগারেট কিনে দেয়ার রহস্যই বা কী? আবার শিশুরাও সেই সিগারেট বড়দের মতো ফুঁকে যায়। এমনই এক আজব এক গ্রাম রয়েছে পর্তুগালে। ছোট্ট সেই গ্রামটির নাম ভেল দে সুলগেইরো। গ্রামটির নাকি এটাই প্রচলিত রীতি।

জানা যায়, সেখানকার সব শিশুর বয়স পাঁচ হলেই অবিভাবকরা তাদের ধুমপান করতে উৎসাহ যোগান। তারই সিগারেট কিনে এনে সন্তানের হাতে তুলে দেন। গ্রামটিতে জানুয়ারি মাসে একটি অনুষ্ঠান হয়। যেখানে আগুন জ্বালিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন গ্রামবাসীরা। আর সেখানেই ছেলে বা মেয়ে সবার হাতেই তুলে দেয়া হয় সিগারেট।

তেমনই এক পিতা গুইলহারমিনা মেথিউস। যিনি তার পাঁচ বছর বয়সী কন্যার হাতে তুলে দিয়েছেন সিগারেট। তার মতে, এটি আমাদের প্রথা। জানিনা কেন? তবে এতে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আমরা মনে করি। তারা শুধু উৎসবের দু’দিনেই ধুমপান করে। পরবর্তীতে তাদের ধুমপানের অনুমতি দেয়া হয় না।’
জোস রিবেইরিনহা হলেন একজন লেখক। তিনি তার একটি বই ‘ভালে ডি সালগুইরো ফেস্টিভিটিস’

এ উল্লেখ করেন, পর্তুগালের ওই গ্রামের নিয়মটি বেশ পুরনো। অতীতে শীতকালীন সময়েই উৎসবটির আয়োজন করা হত। আর তখন থেকেই তারা শিশুদের মুখে সিগারেট তুলে দেয়া শুরু করেন। তার মতে, গ্রামটি এখানো কুসংস্কারচ্ছন্ন। তবে তারা যে শিশুদের ক্ষতি করছে এ বিষয়ে তাদের কোনো ধারনা নেই।

প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে চলে গান বাজনা। একজনকে রাজা সাজানো হয়। তিনি সবাইকে ওয়াইন এবং খাবার পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানেরই একটা অংশ শিশুদের সিগারেট খাওয়ানো। পর্তুগালে তামাক কিনতে হলে তাকে ১৮ বছর বয়স হতেই হয়।তবে গ্রামে এই উৎসবের সময় সে নিয়ম মানা হয় না, এটাই তাদের ঐতিহ্য। গ্রামবাসীদের দাবি, শিশুরা ধূমপান করতে পারে না। তারা শুধু ধোঁয়া টানে ও ছেড়ে দেয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.