কাশ্মীরের ব্রাহ্মণ মেয়েদের নাক কাটতে হয়েছিল, তাদেরকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে


Odd বাংলা ডেস্ক: ১৯৮৯ সালের সেই সময় কাশ্মীর একান্ত বিক্ষুব্ধ। ১৯৮৮ সালের ৩১ জুলাই জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (JKLF) সশস্ত্র অভুথ্যান শুরু করে ভারতের থেকে ‘স্বাধীনতার’ জন্যে। দুটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে কাশ্মীরে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। অনেক উঁচু পদে অবস্থিত হিন্দু অফিসার দের হত্যা করা হয়। টিক্কা লাল টাপলু, সভাপতি কাশ্মীর ভারতীয় জনতা পার্টি, খুন হন ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯, ৪ নভেম্বর ১৯৮৯ নীলকন্ঠ গাঞ্জু, যিনি বিচারক হিসাবে কাশ্মীরের ‘JKLF এর নেতা’ মকবুল ভাটের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন, তাকে হত্যা করা হয়। এমনকি লাসা কৌল, শ্রীনগর দূরদর্শনের প্রধানের মৃত্যু ঘটে গুপ্তঘাতকের হাতে ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৯০তে । 

কাশ্মীরে ব্রাহ্মণরা প্রায় কয়েক শতাব্দী থেকেই অত্যাচারিত। সেই যবে থেকে কাশ্মীরে অন্য দেশ থেকে আগতরা রাজত্ব শুরু করে সেদিন থেকেই তাঁরা অত্যচারিত। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে কাশ্মীরের হিন্দুরা কেবল ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়েরই সদস্য কেন? এর উত্তরে অন্যান্য যাঁরা ছিলেন মানে বৈশ্য বা শূদ্র তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। সেই ১৪০০ শতাব্দী থেকে কাশ্মীরে ইসলামিক রাজত্ব বা ইসলামের সংখ্যা গরিষ্ঠতা শুরু হয়ে যায়। শিকান্দর বুদশিকান, সামসুদ্দিন ইরাকির মতো বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কয়েকশো বছর ধরে কাশ্মীরের হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে।     

বাড়ির মেয়ের সৌন্দর্য্য যখন অভিশাপ 

ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। এর যথেষ্ট প্রমান আছে যে আফগানরা যখন কাশ্মীর দখল করে তখন সেখানে আতঙ্ক দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমন কি কিছু পরিবারের মানুষ তাদের বাড়ির মেয়েদের নাক পর্যন্ত কেটে দিতে বাধ্য  হয়। মাথা চুল সমস্ত কামিয়ে ফেলে তারা। কারন আফগানরা মাঝে মাঝেই তাদের পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের তুলে নিয়ে যেত ও ধর্ষণ করত।  


গিরিজা কুমারী টিক্কুর গণধর্ষণের জবাব আজও মেলেনি

গিরিজা কুমারী টিক্কুকে গণধর্ষণ করে তার দেহ ২ খণ্ডে বিভক্ত করা হয়, Image Source: JK Now 


গিরিজা কুমারী টিক্কু একজন শিক্ষিকা ছিলেন। হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে।  তাঁকে স্কুল থেকে ফেরার পথে ধর্ষণ করা হল। গণধর্ষণে অংশগ্রহণ করল তাঁরই প্রতিবেশী অন্য ধর্মের মানুষ। চোখের সামনে বেআব্রু হল বাড়ির মেয়ে। তাঁর ২ সন্তান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল সেদিন নিজের মায়ের ধর্ষণ।  

এটা তো একটা ঘটনা। কাশ্মীরের ব্রাহ্মণ পন্ডিতদের পাশে সমসাময়িক কেউ দাঁড়ায়নি। কংগ্রেস দেখেছিল ভোটের রাজনীতি। সংখ্যায় যে বেশি ছিলেন না কাশ্মীরি পন্ডিতরা।  তাই ওদের ওভাবেই মরতে হল নয়তো ধর্মান্তরিত হতে হল।     




সূত্র: আপওয়ার্ডস



Blogger দ্বারা পরিচালিত.