মঙ্গলবার করে নয়, রোজ পাঠ করুন হনুমান চল্লিশা, দূরে রাখুন আর্থিক অনটন


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রতিটি হিন্দু ঘরে মঙ্গলবার করে হনুমান চল্লিশা পাঠের রেওয়াজ রয়েছে। বলা হয়, এই পৃথিবীতে যাবতীয় খারাপ, যা-ই পাপ তা দূর করতে হনুমান চল্লিশা পাঠ করা উচিত। শুধু তাই নয় যে গৃহে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাঠ করা হয়, সেই পরিবার বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ লাভ করে। যেকোনও বয়সের মানুষ, ছোট থেকে বড় যেকেউ হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে পারেন। যাবতীয় সঙ্কট দূর করতে কীভাবে কাজ করে হনুমান চল্লিশা। জেনে নিন- 

১) শনির সাড়ে সাতির প্রভাব দূর করতে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। শনির সাড়ে সাতির প্রভাব যদি জীবনের ওপর পড়ে, তাহলে সংসারে কারওর কোনও মঙ্গল হতে পারে না। তাই এই প্রভাব থেকে মুক্ত হতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। এর মন্ত্র জপে জীবনে শান্তি নেমে আসবে।

২) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে চাইলে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। অনেকসময় সবরকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে যখন খুব একটা কিছু করে উঠতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে নিয়ম করে হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে হবে। তবে এরজন্য প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার রাতে হাত-মুখ ধুয়ে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন।  

৩) সঙ্কট দূর করতে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। মনে মনে কয়েকবার ‘সঙ্কট মোচন শ্রী হনুমানুষ্টক’ জপ করুন। বজরঙ্গবলীর এই মন্ত্র উচ্চারণ করলে কোনও ব্যক্তির সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যায়। সমস্ত বাধা অতিক্রান্ত হয়ে চলার পথ সুগম হয়। তাই বিপদে পড়লে বা কোনওরকম বাধার সম্মুখীন হলে, অবশ্যই মনে মনে এই ‘সঙ্কট মোচন শ্রী হনুমানুষ্টক’ মন্ত্র জপ করুন। 

৪) রাতের বেলা হনুমান চল্লিশা মন্ত্র জপ করলে আর্থিক সমস্যা কেটে যায়। সেইসঙ্গে অভাব আপনাকে স্পর্শও করতে পারবে না। গৃহে শান্তি নেমে আসবে।

৫) পাপবোধ হলে হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন। আপনার যদি পাপবোধ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে হনুমান মন্ত্রই হতে পারে আপনার ক্ষমা চাওয়ার একমাত্র পথ। প্রতিদিন রাতে আটবার করে হনুমান চল্লিশার প্রথম স্তবটি পাঠ করুন। পাপবোধ থেকে মুক্তি পাবেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.