সিনে-দুনিয়া থেকে শত যোজন দূরে শর্মিলা ঠাকুরের মেজো মেয়ে সাবা, দেখভাল করেন ২৭০০ কোটির সম্পত্তি
Odd বাংলা ডেস্ক: পতৌদি পরিবারের সঙ্গে সকলেই বেশ পরিচিত। কিংবদন্তী অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, ছেলে সইফ আলি খান, মেয়ে সোহা আলি খান এবং পূত্রবধূ করিনা কাপুর খান-কে তো সকলেই চেনেন। কিন্তু পতৌদি পরিবারের অন্য আর এক সদস্যকে কে কি চেনেন। অনেকেই হয়তো জানেনই না যে, বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির আরও একটি মেয়ে রয়েছে। তাঁর নাম সাবা আলি খান।
প্রয়াত মনসুর আলি খান এবং শর্মিলা ঠাকুরের দ্বিতীয় সন্তান হলেন সাবা। পেশায় তিনি একজন জুয়েলারি ডিজাইনার। অওকাফ-এ-শাহ নামে রয়্যাল ট্রাস্ট অফ ভোপালের প্রধান অছি হিসাবে নিযুক্ত। বলিউডের সঙ্গে তাঁর দূর-দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। ক্যামেরার সামনেও তাঁকে বিশেষ একটা দেখা যায় না। কেন জানেন?
একথা ঠিক যে, স্টার-কিড মাত্রেই যে স্টার হবেন এমনটা নাও হতে পারে। সেইরকমভাবেই অভিনয়ের প্রতি সেইরকম একটা আগ্রহ ছিল না সাবার। ব্যক্তিগতভাবে তিনি খুবই লাজুক প্রকৃতির, তাই ক্যামেরার সামনে আসারও কোনও ইচ্ছা তাঁর মনে ছিল না। তবে তিনি তাঁর কাজ নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।
মুম্বইতেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সাবার। ছোট থেকেই পারিবারিক সকল ঐতিহ্যকে খুব কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন সাবা। আ সেই ঐতিহ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই জুয়েলারি ডিজাইনের প্রতি ঝোঁক বাড়ে সাবার। সর্বক্ষণ কাজ নিয়েই মেতে থাকেন পতৌদি পরিবারের এই মেয়ে।
চল্লিশোর্ধ্বো বয়স হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও অবিবাহিতা রয়েছেন সাবা আলি খান। নিজের ব্যবসা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে লবাব পরিবারের প্রায় ২৭০০ কোটি টাকার সম্পতি তিনিই দেখভাল করেন। মনসুর আলি খানের অধীনে নাইব মুতায়ালির ডেপুটি অছি হিসাবে কাজ করতেন সাবার, এরপর বাবার মৃত্যুর পর তিনিই এখন প্রধান দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন- বিশেষ কারণে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করেন, চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়াশোনাও বেশি দূর করতে পারেননি জনি লিভার
ভাইয়ের বউ করিনা কাপুর খানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে সাবার। শোনা যায় একবার সইফ তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন করিনার জন্য একটি গহনা ডিজাইন করে দেওয়ার জন্য, ভাইয়ের সেই অনুরোধ রেখেছিলেন সাবা, সেই থেকেই করিনার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাঁর। দিল্লি কলেজ অব আর্টে পড়াশোনা শেষ করে সাবা জেমোলজি অ্যান্ড ডিজাইনে ডিপ্লোমা করেন। হিরের গহনা ডিজাইনে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে তাঁর। নিজে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় না এলেও সিনেমা দেখতে খুবই ভালবাসেন সাবা। পরিবারের কোনও সদস্যের ছবি মুক্তি পেলে তা কখনওই মিস করেন না পতৌদি পরিবারের মেজ মেয়ে।
Post a Comment