একান্ত মুহূর্ত কাটানোর আগে স্ত্রীর পতি স্বামীর কিছু কর্তব্য থাকে, এগুলি অবশ্যই মেনে চলুন


Odd বাংলা ডেস্ক: যৌন ক্রিয়া একটি প্রাকিতিক চাহিদা । আমাদের দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলতে এখনো এই বিশয়ে খোলামেলা আলোচনা কেও করতে চাই না। তবে গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের যৌন শিক্ষার সব থেকে বেশি অভাব। আর এই শিক্ষার অভাবে দাম্পত্য জিবনে দেখা দেয় চরম অশান্তি । আমারা এই বিষয়ে সংক্ষেপে আপনাদের সামনে ধারাবাহিক ভাবে কিছু তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করবো। আমরা আশা করি এতে আমাদের বিস্তারিত না হলেও কিছুটা জ্ঞান আমারা সকলে অর্জন করতে পারব। আজ আমরা আলোচনা করবো সম্ভোগের পূর্বে একজন পুরুষের 

করনীয় কি? সম্ভোগের আগে স্বামীর কর্তৃব্য:

১। স্বামীর কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে। ৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামভাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।
৪। নারী ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
৫। নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।
৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।
৭। স্বামীকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনওই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনও উচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।
৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।
৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
১০। নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.