তেলাপিয়া মাছ খেলে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি! বলছে গবেষণা


Odd বাংলা ডেস্ক: সারা বছর বাজারা পাওয়া যায় এমন মাছের তালিকায় তেলাপিয়া মাছ অন্যতম। বলা হয় বিশ্বের প্রায় একশোটিরও বেশি দেশে এই তেলাপিয়া মাছের চাষ করা হয়। অন্যান্য মাছের থেকে দামও কম, সহজলভ্য এবং স্বাদেও ভাল হওয়ায়, অনেকেই এই মাছ খেতে পছন্দও করেন তাই বাজারে তেলাপিয়া মাছের চাহিদাও রয়েছে।

শুধু তাই নয়, পুষ্টিবিদরা এও দাবি করেছেন যে, তেলাপিয়া মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন (বি-১২), প্রোটিন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো একাধিক পুষ্টিগুণ। শুধু তাই নয়, তেলাপিয়া মাছকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপযুক্ত বলে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা ।  

কিন্তু সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা একাধিক গবেষণায় খুঁজে পেয়েছেন যে, তেলাপিয়া মাছের নাকি একাধিক ক্ষতিকারক দিকরয়েছে। তেলাপিয়া মাছ খেলে মারণ রোগ ক্যান্সারের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি শরীরে আরও নানারকমের ক্ষতি হতে পারে। 

কী, অবাক হলেন তো! ভাবছেন কীভাবে এই মাছের মধ্যেলুকিয়ে থাকতে পারে এই মারণ ব্যধি?! 
তবে এই সম্ভাবনার কথা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তরফে দাবি করা হচ্ছে যে, সুস্থ মানুষ তেলাপিয়া মাছ খেলে তাঁর ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, এই মার্কিন মুলুকে আমদানি হওয়া তেলাপিয়া মাছের প্রায় অর্ধেকের বেশি আসে চিন থেকে। আমেরিকার কৃষি বিভাগের বিশেষজ্ঞরা তেলাপিয়া মাছের শরীরে এমন কিছু উপাদান খুঁজে পেয়েছে যা বিষাক্ত ও ক্ষতিকর। 

গবেষকরা জানিয়েছেন, চিনে চাষ করা তেলাপিয়া মাছকে যেসব খাবার খাইয়ে দ্রুত বড় করে তোলা হয়, সেই খাবারের মধ্যেই রয়েছে বিষাক্ত উপাদান, যার ফলে সেই মাছ খেলে শারীরিক ক্ষতি অনিবার্য। মার্কিন গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন যে, তেলাপিয়া চাষের জন্য যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তাতে ডিবিউটিলিন (Dibutylin) এবং ডাইঅক্সিন (Dioxin) নামে দুই প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই বিষাক্ত রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে হাঁপানি এবং অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে ওবেসিটি অর্থাৎ স্থূলতার মতো সমস্যাও হতে পারে। সেইসঙ্গে এই রাসায়নিকের প্রকোপে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মার্কিন গবেষকরা প্রায় আটশোরও বেশি মাছের ওপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, তেলাপিয়া মাছ একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়, বরং শরীরের পক্ষে হানিকারক। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.