বয়স ৫০ পেরিয়েছে? চিন্তা নেই এইভাবেও করতে পারেন প্রচুর আয়


Odd বাংলা ডেস্ক: ৫০ পেরোলেই অনেকেই ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন। বিশেষত যাঁরা কর্পোরেট চাকরি করেন, তাঁদের চিন্তা এটা থাকে যে, কাজ থেকে অবসরের পর কী করবেন। কারণ কর্মজীবন থেকে বিরতি নিয়ে ঘরে বসে বসেও সময় কাটে না। এই সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো কাজে যুক্ত হন। একিট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ কর্মী ৫০ বছর বয়স পেরোলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। 

এর জন্য কী কী করবেন- 

বর্তমান দক্ষতাকে কাজে লাগান- সমীক্ষা বলছে, সব বয়সী ফ্রিল্যান্সাররাই তাঁদের দক্ষতা আর পারদর্শিতা অনুযায়ী কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে পরামর্শ দেওয়া, বিপণন, প্রোগ্রামিং-এর মতো কাজ। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সাধারণত অদক্ষদের চেয়ে দক্ষরা কাজ পান বেশি এবং তাঁদের আয়ও অনেক বেশি। 

নেটওয়ার্কিং- ফ্রিল্যান্সিংয়ের দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে নেটওয়ার্কিং। আপনাকে যত মানুষ জানবে, আপনার সঙ্গে যত বেশি মানুষের যোগাযোগ থাকবে ততই আপনার দক্ষতা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা থাকবে, আর ততই আপনার কাজ পেতে সুবিধা হবে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়টি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার সবচেয়ে ভাল। ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে আগের ফ্রিল্যান্স গ্রাহক, বন্ধু ও পরিবার, পেশাদার যোগাযোগ, পরিচিত প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও যোগাযোগের কারণে তরুণদের তুলনায় পঞ্চাশোর্ধ মানুষই বেশি কাজে আসেন।

বিনিয়োগ- বয়স হয়ে গেলেও যাঁদের দক্ষতা রয়েছে, তাঁরা আরও দক্ষতা বাড়াতে বিনিয়োগ করুন। শিখে ফেলতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার কাজ। বয়সকে বাধা না মেনে গ্রাহককে বোঝাতে হবে প্রতিযোগিতামূলক কাজে এগিয়ে আছেন আপনি। যদি নিজের দক্ষতা বাড়াতে না পারেন, তবে বেশি আয় করা ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হবে না। 

তবে একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় ঢুকেই প্রচুর অর্থ আয় করে ফেলবেন, এমন ধারণা ভুল। ধীরে ধীরে ও ধাপে ধাপে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে আসুন। শেখার মানসিকতা রাখুন। কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.