ভারতের প্রজাতন্ত্রদিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে পার্থক্য কী জানেন...


Odd বাংলা ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি তারিখটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। স্বৈরাচারী ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা লাভের তিন বছর পরে ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতালাভের সাত দশকের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবস-এর মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন। দেখে নিন ভারতের স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের মধ্যে পার্থক্য কী কী- 

তারিখ- ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট তারিখে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। এর তিন বছর পর ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হয়। 

তাৎপর্য- 
স্বাধীনতা দিবস- স্বাধীনতা দিবসের দিন ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন ঘোষণা করা হয়। প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছিল।  
প্রজাতন্ত্র দিবস- প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধান গ্রহণ করে এবং একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হয়।

উৎযাপন- 
স্বাধীনতা দিবস- স্বাধীনতা দিবসের দিনটি আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধা, সৈনিক এবং বিপ্লবীদের স্মরণে উৎযাপন করা হয়। এইদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। রাজধানী-সহ সারাদেশের বিভিন্ন কোণায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। দেশাত্ববোধক গান, মিষ্টি বিনিময় করে ঘুড়ি উড়িয়ে উদযাপন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি টেলিভিশন মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। 

প্রজাতন্ত্র দিবস- ২৬ জানুযারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী, ২০০ শক্তিশালী অশ্বারোহী ইউনিট লাল কোট, সোনালী স্যাশে এবং মাথায় পাগড়ি পরে মার্চ করতে করতে রাষ্ট্রপতিকে প্রজতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ মঞ্চে নিয়ে যান। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সারা বিশেব থেকে তাবড় তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানরা এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়া দিল্লিতে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ভারতের সামরিক শক্তির প্রদর্শন করা হয়। এটি হল বছরের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। 

আর এই দুই দিনেই রাষ্ট্রীয় ছুটি বলে ঘোষণা করা হয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.