শঙ্খ মাত্রই সেটা ভাল- এই ধারনা ভুল, বাড়িতে আনুন সঠিক শঙ্খ


Odd বাংলা ডেস্ক: আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। এই দেশের কালচার সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে আমাদের দেশে ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান’, প্রচুর ধর্ম ও তাদের প্রচুর আচার বিচার। হিন্দু ধর্মের এক বিশেষ রীতি হল শঙ্খ বাজানো। যেকোন ধরনের শুভ কাজেই শঙ্খ বাজানো হয়। মনে করা হয় যে, অসুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তিকে আহ্বান জানায় শঙ্খ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে যখন বজ্রপাত হয় তখন অনেক বাড়িতে আবার শঙ্খ বাজানো হয়, সুতরাং বাঙালি সংস্কৃতিতে শঙ্খ এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিটি বাড়িতেই সকাল বেলা পুজো পাঠের সময় এবং সন্ধ্যা বেলায় তুলসি তলাতে শঙ্খ বাজানো হয়ে থাকে। তবে হিন্দু শাস্ত্র ছাড়াও শঙ্খ বাজানোর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে শঙ্খ বাজালে নাকি ঘর থেকে সমস্ত রকমের জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। তাছাড়া রয়েছে অনেক শারীরিক উপকারিতাও। 

 তবে শুধু এর আওয়াজেই গুরুত্ব নয়, এর শুভ শক্তি নির্ভর করে আপনি এটিকে আপনার বাড়ির ঠিক কোন অংশে রেখেছেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার উপকার ও অপকার। পুরানের বক্তব্য অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনের পর ভগবান বিষ্ণুর হাতে উঠে এসেছিলো শঙ্খ, আর এই শঙ্খের নিচেই নাকি অবস্থান সূর্য, চন্দ্র, বরুন ইত্যাদি দেব দেবীর। তাই প্রায় সমস্ত দেব দেবীর উদ্দেশেই শঙ্খ বাজানো যায়। শঙ্খ বাড়িতে রাখার উপকার পেতে এই নিয়ম গুলি পালন করা উচিত, যেমন- সংসারের উন্নতির জন্য দুই ধরনের শঙ্খ কেনা উচিত। প্রথমে ওই দুটিকে গঙ্গা জলে ধুয়ে নেবেন, তারপর যেটি প্রতিদিন ব্যাবহার করবেন সেটি হলুদ কাপরে মুড়ে রেখে দিন আর যেটি করবেন না সেটি সাদা কাপরে মুড়ে রেখে দিন। শঙ্খ কখনই মহাদেবের মাথার ওপরে রাখবেন না। এতে তিনি অসন্তুষ্ট হন। দেবদেবীর আশীর্বাদ পেতে শঙ্খের ছুঁচলো মুখটি সব সময় ঠাকুর দেবতাদের দিকে ঘুরিয়ে রখবেন। প্রতি সোমবার করে শঙ্খ পুজো করলে সময় ভালো যায়। তাছাড়া বাজে শক্তিকে দূর করতে শঙ্খ ধ্বনির জুড়ি মেলা ভার।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.