জানেন, নেতাজি মোট দু'বার বিয়ে করেছিলেন!


Odd বাংলা ডেস্ক: স্বাধীনতার আগে থেকেই সুভাষচন্দ্র বিষয়ে ভারতীয়দের মত একেবারে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেল। জাতীয় কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের খুব কম বিষয়ে মতৈক্য, বিশেষত জাতীয়তা-স্বাধীনতার প্রশ্নগুলিতে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা সমস্বর: ইনি আস্ত কুইসলিং, তোজোর কুকুর। নরওয়ে-তে ভিদকুন কুইসলিং যেমন অক্ষশক্তির আক্রমণের সুযোগে তাদেরই সহায়তায় দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, সুভাষও জার্মান কিংবা জাপানি বাহিনী নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের দিকে এগোচ্ছেন নিজে ক্ষমতার শীর্ষে বসবেন বলে: নেতৃমহল থেকে উৎসারিত ছিছিক্কার নিচুমহলের রাজনীতিতেও যথেষ্ট ছড়াল। স্বাধীন ভারতেও সরাসরি বামে দক্ষিণে নেমে এল এই উত্তরাধিকার, বিশেষত বাঙালি সমাজে।

আরও পড়ুন- 'সুভাষ বসুর বিমান দুর্ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন প্রণব মুখার্জি!', রেডিও তেহরান যা সম্প্রচার করেছিল
 নেতাজির মৃত্য রহস্য যেমন আজও ধোঁয়াশায় ঢাকা, নেতাজির প্রেমজীবনও। ঔপনিবেশিক শক্তি হিসেবে ভারত যাতে হাতছাড়া না হয় তাই স্বদেশী আন্দোলনের বিরুদ্ধে, বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে নেতাজির বিরুদ্ধে প্রচণ্ড দমনপীড়ন করছে ব্রিটিশ শক্তি। আজাদ হিন্দ বাহিনিকে রক্ষা করতে, দেশে স্বাধীনতা আনতে বাধ্য হয়ে একসময় দেশ ছাড়েন সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর ১২৩তম জন্মতিথিতে ফিরে দেখার চেষ্টা ব্যক্তি সুভাষ চন্দ্র বসুকে। কেমন ছিলেন রক্তমাংসের নেতাজি?

আরও পড়ুন-  তৈরি করেছিলেন আজাদ হিন্দ, কংগ্রেস হাই কমান্ড বলেছিল সাহায্য করবে না
সংবাদমাধ্যমের সূত্র বলছে, বিদেশে অবস্থান কালে নেতাজি নাকি দু’বার বিবাহ বন্ধনে .বাঁধা পড়েছিলেন। নেতাজির প্রপৌত্র সুগত বোস তাঁর আত্মজীবনীতে জানিযেছেন, প্রথমবার এমিলি শেঙ্কেলকে বিয়ে করেন সুভাষ। ১৯৩৭ সালে গোপনে। তাঁদের একমাত্র কন্যা অনিতা বোস। যদিও মুখার্জি কমিশনের দাবি, এই বিয়ে হয়েছিল সম্ভবত ১৯৪২ সালে। তবে এমিলিকে বিয়ের কথা বারবার অস্বীকার করেছেন নেতাজি। এমনকি চিনে যাওয়ার ভিসা চৈরির সময় নিজের স্ট্যাটস লিখেছিলেন ‘সিঙ্গল‘। ওই বছরেই জন্ম অনিতার। ফলে, বিয়ের সঠিক সময় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। এদিকে  প্রাগের ভারতীয় দূতাবাসের দাবি, ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৮-এর মধ্যে একাধিকবার চেকোস্লোভাকিয়া গেছিলেন নেতাজি। প্রাগে ১৯৩৪ সালে ইন্দো চেক অ্যাসোসিয়েসন প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। তাই বিয়ের সময়কাল ১৯৩৭। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের অন্য সূত্র বলছে, এমিলিকে বিয়ের পরে আরও একবার বিয়ে করেন সুভাষ চন্দ্র বোস। চেকস্লভাকিয়ার সেই মহিলা এবং সুভাষ চন্দ্রের বিয়ের ফসল আরও এক মেয়ে। যাঁকে সংক্ষেপে তাঁরা নিমা বলে ডাকতেন। সুভাষচন্দ্র বোসের আত্মজীবনী এই বিয়েকে সমর্থন করে। এবং বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি— এই দিকেও ইঙ্গিত করে। তাহলে নিজের দেশ থেকে সরে কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন নেতাজি? দেশপ্রেমের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও সুভাষ একাধিকবার বার প্রেমে পড়েছেন! বিয়ে করেছেন? তাঁর অন্তর্ধান রহস্যের মতোই আজও এই দিক বিশাল ধাঁধা।  
Blogger দ্বারা পরিচালিত.