তথাকথিত মৃত্যুর পরেও নানা সময় নানা জায়গাতে দেখা গিয়েছে নেতাজিকে


Odd বাংলা ডেস্ক: নেতাজি যেমন বাঙালির জন্য এক আবেগ তেমনই এক রহস্যও। নেতাজি শেষদিন পর্যন্ত কোথায় ছিলেন। সেই নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। তবে তারই মাঝে নেতাজির রাশির ওমস্কে থাকার কথা শোনা যায়।  সেই নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে নেতাজি সম্পর্কিত বহু গোপন ফাইল। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের দাবি মেনে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সেই ফাইলগুলি প্রকাশ করছে কেন্দ্র। প্রকাশিত সেই ফাইলগুলি থেকে সামনে আসছে নেতাজি সম্পর্কিত নানাবিধ তথ্য। তবে এই বিষয়টি নিশ্চিত যে ১৯৪৫ সালের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি সেই বঙ্গতনয়ের। 
নেতাজির ওপর নানা ভাবে রাশিয়াতে অত্যাচার করা হয় সেটাও নাকি উল্লেখ করা হয়েছে অনেক জায়গাতে। ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৬ ডিসেম্বর এবং ১৯৪৬ সালের পয়লা জানুয়ারি এবং ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজির ভাষণ সম্প্রচারিত হয়েছিল। ফাইলের তথ্য অনুযায়ী, বাংলার গভর্নরের হাউজ থেকে একটি মনিটরিং সার্ভিস ৩১ মিটার ব্যান্ডে তিনবার সুভাষ বসুর বক্তৃতা সম্প্রচার করা হয়েছিল।২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত কিছু ফাইল থেকে জানা যায় এই বিষয়টি। কিন্তু এরপর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। স্বাধীনতার পর থেকে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিটি। বেশ কিছু ফাইল থেকে ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নেতাজির রাশিয়ায় থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। নয়াদিল্লির পক্ষে প্রকাশিত ফাইল থেকে উঠে আসা তথ্য নিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ নেতাজির গঠিত রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের বর্তমান নেতৃত্ব। অনেক ‘টপ সিক্রেট’ ফাইল প্রকাশ্যে না আসায় এই কোন মন্তব্য করতে নারাজ রাজ্য ফরওয়ার্ড ব্লক চেয়ারম্যান বরুণ মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্রের কাছে আমরা বহুবার নেতাজি সম্পর্কিত নানান ফাইলের কপি চেয়েছি। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।” নেতাজির রাশিয়ার থাকার দাবি মস্কো উড়িয়ে দিলেও তা মানতে নারাজ প্রাক্তন সাংসদ তথা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা জয়ন্ত রায়। রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সাংসদের কথায়, “১৯৪৬ সালের প্রথম দিকে রাশিয়াতে গিয়েছিলেন নেতাজি। আমেরিকার নির্দেশে ওমস্ক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে রাশিয়ার উত্তরে সাইবেরিয়ার জেলে বন্দি করে রাখা হয়। সেখানের কিছু কয়েদির সহযোগিতায় ইরান-আফগানিস্তান হয়ে হাঁটা পথে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন নেতাজি। তারপর কী হয়েছিল, তা আর জানা যায়নি। সেটাই সবথেকে বড় রহস্য।” রাশিয়ায় গিয়ে বিভিন্ন গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি এই তথ্য জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন জয়ন্তবাবু। 

আরও পড়ুন- ভারতীয়রা কি শুধু স্বার্থই দেখলেন! আর নেতাজির দর্শনের কী হল?

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমরা রাশিয়ায় বিভিন্ন আর্কাইভাল ডকুমেন্ট দেখেছি। সেখানে বিভিন্ন ছবি রয়েছে। যদিও রাশিয়ায় সরকারিভাবে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।” নেতাজির রাশিয়ার থাকার খবর মস্কো কখনই স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন এই সাংসদ 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.