মদ্যপান নয় বরং গরুর দুধেই বেশি ক্ষতি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
Odd বাংলা ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাড়ির বড়রা বলে আসছে দুধ না খেলে কোনদিন ভালো ছেলে হওয়া যায় না। আর ১৫-১৬ বছর বয়স হতে না হতেই আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মদ শরীরের ও মনের গুরুতর ভাবে ক্ষতি করে। মাতালরা চিরকালই সমাজ থেকে বঞ্চিত। তাও কারও না কারও পাল্লায় পরে মদের গ্লাস হাতে ধরে নিতেই হয় আজকালকার ছেলেদের।
কারন আজকালকার দিনে মদ খাওয়া হচ্ছে লেটেস্ট ট্রেন্ড। পৃথিবীতে অনেক লোক আছে যারা মদ বেচে দুধ পান করে, আবার এরামও অনেক লোক আছে যারা দুধ বেচে মদ্যপান করেন। এবার এর মধ্যে কোনটা উপকারি আর কোনটা ক্ষতি করে তা নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন চিন্তাধারা রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোনটা সঠিক কোনটা ভুল।
যে মানুষ মদ বিক্রি করে দুধ খায় সে হল স্বার্থপর, কারন সে মদ বিক্রি করে সমাজের অনেক মানুষের ক্ষতি করছে, আর সেই টাকায় দুধ কিনে খেয়ে নিজের উপকার করছে। আর যে দুধ বিক্রি করে মদ খায় সে অন্যের ভালো করে নিজের ক্ষতি করছে। সে হল বোকা।
কিন্তু এখন এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ একটি গবেষণার পর বলেছেন মদের থেকে গরুর দুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে বেশি ক্ষতিকর। কারন হল এখনকার কৃত্রিম রাসায়নিক। এখন গরুকে নানারকম ইনজেকশন দেওয়া হয় যাতে তারা দুধ দিতে সক্ষম থাকে, আর দুধের পরিমানও বেশি হয়। কোলেস্টেরলের জন্য গরুর দুধ আরও ক্ষতিকর।
বর্তমানে গরুর দুধ খাওয়া মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
এর ফলে মানুষের নানা রকম রোগ দেখা দিতে পারে, এমনকি ক্যানসারের মতো রোগও হতে পারে। তাই ডাক্তারেরা গরুর দুধ খাওয়ার পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা আমন্ড মিল্ক খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডাক্তারা আরও বলেন যে, মদ খাওয়াও শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু সামান্য পরিমাণে মদ্যপান করলে ধমনী পরিস্কার থাকে। আবার মদ্যপানের থেকেও মেদ বাড়াতে বেশি সক্ষম হল রাসায়নিক মেশানো গরুর দুধ।
কিন্তু তার এই দাবি শুনে অন্য কোন বিজ্ঞানী কোন রকমের মন্তব্য করেননি। তার বিপক্ষেও কিছু বলেননি আর সপক্ষেও কিছু বলেননি। কিন্তু গরুর দুধ যে আগের মতো পুস্টিকর নয় সেটা প্রমাণিত।
Post a Comment