বিয়ের বাকি আর মাত্র ১০ দিন? এর মধ্যে করে ফেলতে হবে এইসব কাজগুলি
Odd বাংলা ডেস্ক: সব মেয়ের জীবনেই বিয়ের দিনটি জীবনের অন্যতম সেরা দিন। এই দিনের অপেক্ষায় বহু মেয়েই দিন গোনেন। তবে সামনেই যাঁদের বিয়ে তাঁদের মনে খানিকটা হলেও টেনশন চলে। তবে হাতে যদি আর দিন দশেক সময় থাকে তাহলে খুব চটজলদি করে নিতে হবে কয়েকটি কাজ। জেনে নিন কীভাবে করবেন সেই তালিকা...
১০ দিন আগে-
- অনুষ্ঠানের সব খুঁটিনাটি একবার সকলে মিলে একসঙ্গে বসে মিলিয়ে নিন।
- অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন কারা কারা নিশ্চিত আসবেন।
- কোনও কিছু নিয়েই অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না, তাতে অযথা স্ট্রেস বাড়বে।
- কম ঘুম হলে তার ছাপ চেহারায় পড়তে পারে।
- রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জল খান, আর দিনে অনেকবার করে জল খান।
৭ দিন আগে
- ওয়্যাক্সিং, থ্রেডিং, আইব্রো, ফেসিয়াল— সবকিছু এই সময় করে নিন। কারণ অনেক সময় র্যাশ বেরনোর সম্ভাবনা থাকে। যাতে বিয়ের দিন সেসব নিয়ে ভুগতে না হয়, তাই এখনই করে ফেলুন।
- যদি র্যাশ বেরোয় তাহলে রোজ রাতে বরফ লাগান, অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ম্যাসাজ করবেন। দু’বেলা ভাল করে ত্বকের যত্ন নিন।
- ঠোঁট, নাকের দু’পাশ, কনুই বা গোড়ালির যত্ন নিন।
- ঘরে তৈরি উবটন লাগানো শুরু করুন।বডিস্ক্রাব লাগানো শুরু করুন। ওটমিল বা কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো দিয়ে মধু, অলিভ অয়েল, স্নানের আগে এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে বডি মাসাজ করুন।
- এই মরসুমে ত্বক যাতে শুষ্ক না লাগে তার জন্য এখন থেকেই যত্ন নিন।
৫ দিন আগে
- বিয়ের পর পরই যদি হানিমুনে বেরনোর প্ল্যান থাকে, তাহলে লাগেজ প্যাকিং করে রাখুন।
- টিকিটের প্রিন্ট-আউট, হোটেল বুকিংয়ের কাগজপত্র, পাসপোর্ট বা অন্যান্য সব জরুরি জিনিস ভাল করে গুছিয়ে রাখুন।
- বিয়ের অনুষ্ঠানের সব পোশাক আর একবার ট্রাই করে দেখুন।
২ দিন আগে
- ঠোঁট যাতে না ফেটে যায় সেদিকে নজর দিন।
- বেশি রাত জাগবেন না তাতে চোখে ডার্ক সার্কেল পড়তে পারে।
- বিয়ের দিন সাজের কসমেটিক্স আলাদা করে সরিয়ে রাখুন।
- সব ঠিকমতো আয়রন করা আছে কি না, দেখে নিন।
- কোনও ব্লাউজের হুক সেলাইয়ের প্রয়োজন কি না, দেখে নিনসেফটি পিন, ববি পিন, ডিওডর্যান্ট, ওয়েট টিস্যু, তুলো, কিছু দরকারি ওষুধ, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, লিপস্টিক, হেয়ারস্প্রে, মাস্কারা, ফেসওয়াশ- সবকিছু এক জায়গায় রাখুন
- বিয়ের পরদিন শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় যা যা সঙ্গে নেবেন, সেগুলোও প্যাক করে রাখুন।
১ দিন আগে
- কোনও কাছের ২-৩ জন বন্ধু বা আত্মীয়কে সব রকম দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন।
- কোথায় কী আছে, কখন কী দরকার হতে পারে, সব খুঁটিনাটি যেন তার জানা থাকে।
- খেয়াল রাখবেন, শরীর যেন খারাপ না হয়ে যায়।
Post a Comment