প্রেতরাজ মন্দির: যে মন্দিরে নিত্য আনাগোনা প্রেতাত্মার


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রেতরাজের এই মন্দিরের অলৌকিক ইতিহাস জানলে গা ছমছম করবে অতৃপ্ত আত্মার কথা আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন৷ ব্ল্যাক ম্যাজিকের প্রভাবের সঙ্গেও নিশ্চয়ই আপনারা পরিচিত৷ আপনার কাছের কোনও মানুষ যদি ব্ল্যাক ম্যাজিকের স্বীকার হয়ে থাকেন, তাহলে মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরে এলে সহজেই এই সমস্যার সমাধান হবে৷ এই মন্দিরটি রাজস্থানে অবস্থিত৷ এই মন্দিরে তিন দেবতাকে পুজো করা হয়৷ বালাজি(হনুমান), প্রেত রাজ এবং ভৈরব৷ কথিত আছে, এই সমস্ত ঠাকুরের মূর্তিগুলি হাজার বছরের পুরোনো৷ তবে, এই সমস্ত মূর্তিগুলি কোনও শিল্পীর হাতের ছোঁয়াতে তৈরি হয়নি৷ আপনা আপনিই নাকি তৈরি হয়েছিল এই মূর্তিগুলি৷ তবে এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল বিংশ শতাব্দীতে৷ অতৃপ্ত আত্মা যদি আপনাকে তাড়া হয়ে বেরায়৷ যদি এই মন্দিরে আপনি আসেন তাহলেই এসমস্ত সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷



পর্যটকদের মুখে আরও একটি কথা প্রচলিত রয়েছে৷ এই মন্দিরে যাওয়ার পথে নানারকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়৷ এমনকি ওই এলাকায় ঢুকলে আপনি ঠান্ডা হাওয়ার অনুভব করবেন৷ যদিও এই মন্দিরটি রাজস্থানের উষ্ণ জায়গায় অবস্থিত৷ আর আপনি যদি এই মন্দিরের ভিতরে একবার প্রবেশ করেন তাহলে আপনার এক অদ্ভুত রকমের ছমছমে পরিবেশ অনুভব করবেন৷ কথিত আছে, এই গ্রামের বাসিন্দারা কখনও চোখের পাতা এক করে না৷ এমনকি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় যেসমস্ত দোকান রয়েছে৷ সেগুলিও এক একটি শিফটে কাজ করে৷ কখনও কোনও দোকান বন্ধ করা হয় না৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও শ’য়ে শ’য়ে মানুষ এই মন্দির দর্শনে আসেন৷ যার জেরে পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে৷ কালো রংয়ের গোল মিষ্টি দেওয়া হয় এই মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে৷ কিন্তু এই প্রসাদ কখনও খেতে নেই৷ মন্দিরের ভিতরে অবস্থিত অগ্নিকুন্ডে ছুঁড়ে ফেলতে হয় এগুলিকে৷ এমনকি প্রসাদের সঙ্গে কোনও ফুলও দেওয়া হয়না এই মন্দিরে৷ এছাড়াও এই মন্দিরের ভিতরে আরও অলৌকিক কাজ হয়ে থাকে৷ ভূতে বিশ্বাস না থাকলেও এই মন্দিরে ঢুকলে আপনার গা ছমছম করবেই৷
Blogger দ্বারা পরিচালিত.