"বেশ্যাদেরও অধিকার আছে ঈশ্বরকে পাওয়ার" দক্ষিণেশ্বরে বলেছিলেন স্বামীজী


Odd বাংলা ডেস্ক: একবার এক রাজার অতিথি স্বামীজি। সন্ধ্যে বেলায় বাঈজীর গানের আসর বসেছে। আর আসরে বাঈজী গান ধরতেই স্বামী বিবেকানন্দ উঠে পড়লেন।বললেন, সন্ন্যাসী দের এরকম স্থানে থাকা অনুচিত। সাথে সাথে বাঈজী দু:খ পেয়ে গান ধরলেন– “প্রভু তুমি আমার নাম দোষ নিও না। তোমার নাম সমদর্শী, আমাকে উদ্ধার করো”। স্বামীজি বুঝতে পেরেছিলেন তারঁ ভুল টুকু। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন — ঈশ্বর সকল জীবে বিরাজমান।।

তাই ই বলেছিলেন — “
দরিদ্রদেবো ভব মুর্খ দেবো ভবো
অর্থাৎ,
দরিদ্র, মুর্খ, অজ্ঞান, কাতর — এরাই তোমার দেবতা হোক, এদের সেবাই পরম ধর্ম বলে জানবে।”

আবার স্বামী রামকৃষ্ণনন্দ কে এক চিঠি তে লেখেন— “ বেশ্যারা যদি দক্ষিণেশ্বরের মতো মহাতীর্থে যেতে না পারে, তবে যাবে কোথায়? পাপীদের জন্য স্রষ্টার যত প্রকাশ পূণ্যবান দের জন্য কিন্তু তত টা নয়। হ্যাঁ, ভেদাভেদ সংসারে আছে, থাকবে, থাকুক না। কিন্তু তীর্থ তে ও যদি এরকম ভেদাভেদ হয় তবে তীর্থ আর নরকে ভেদ টা কি? যারা ঠাকুর ঘরে গিয়ে ও অই বেশ্যা, ঐ নীচ জাতি, ঐ গরীব, ঐ ছোট লোক ভাবে তাদের সংখ্যা যত কম হবে তত ই মঙ্গল। যারা ভক্তের জাতি দেখে বা ব্যবসায় দেখে তারা আমাদের ঠাকুর কে কিভাবে বুঝবে? প্রভুর কাছে প্রার্থনা তে শত শত বেশ্যা আসুক তারঁ পায়ে মাথা নোয়াতে। আর এরজন্য যদি একজন ভদ্রলোক ও না আসে তবে নাই আসুক”।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.